দীঘিনালা প্রতিনিধি:
গত ৫আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর দীঘিনালা প্রেসক্লাবের নতুন করে কমিটি গঠন করা হয়। ৭সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি নির্বাচিত হন মো. সোহেল রানা। যথাক্রমে সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আক্তার হোসেন এবং কোষাধ্যক্ষ এম মহসিন মিয়া। কমিটির অন্য সদস্য তিনজন হলেন, মো. আলমগীর হোসেন, মো. ওসমান গনী এবং কাজী হাবিবুল্লাহ রানা।
দীঘিনালা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত এক অবগতি পত্র থেকে জানা যায়, দুঃখের বিষয়, কোষাধ্যক্ষ এম মহসিন মিয়া প্রেসক্লাবের কোন আলোচনা সভায় উপস্থিত না হওয়ায় তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েও সারা মেলেনি। বরং তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পদত্যাগের ঘোষনা দেন, যা প্রেসক্লাবের জন্য অবমাননাকর ও গঠনতন্ত্র বিরোধী।
প্রেসক্লাবের বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এর কারণ জানতে চাওয়া হলেও কোন সদুত্তর দেননি। তাই, পরবর্তী বৈঠকে সকলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এম মহসিন মিয়াকে দীঘিনালা প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে তার সাধারণ সদস্য থেকেও বাতিল করা হয়।
অপরদিকে ২৮সেপ্টম্বর শনিবার সকাল ১০ টায় দীঘিনালা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রেসক্লাব সভাপতি মো: সোহেল রানা‘র সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাব সাধারন সম্পাদক মো: আল আমিন, সদস্য মো: আলমগীর হোসেন, মো: ওসমান গণি, মো: কাজী হাবিবুল্লাহ রানা প্রমূখ। এতে সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আক্তার হোসেনও একই ভাবে প্রেসক্লাবে অনুপস্থিত থাকার কারণে সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছিল। তিনিও প্রেসক্লাবে উপস্থিত না হয়ে প্রেসক্লাব এবং কমিটি নিয়ে বাহিরে বিরুপ মন্তব্য করতে শোনা যায়, যা গঠনতন্ত্র বিরোধী। তাকে বার বার অনুরোধ জানিয়ে সুফল পাওয়া যায়নি। সঙ্গত কারণে প্রেসক্লাবের বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে মো. আক্তার হোসেনের সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে তার সদস্য পদ থেকে বাতিল করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :