আবদুল আলী-
গুইমারা উপজেলায় দশ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো নির্মিত হয়নি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। নেই কোনো সরকারি হাসপাতাল, পাশাপাশি আধুনিক মানসম্পন্ন বেসরকারি ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারও গড়ে ওঠেনি। ফলে উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের প্রায় ৮০ হাজার মানুষ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত।
প্রতিদিন অসংখ্য সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তারদের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছেন, যা কখনো কখনো রোগ নিরাময়ের পরিবর্তে আরও জটিলতা তৈরি করছে। সঠিক চিকিৎসা ও রোগ নির্ণয়ের জন্য পার্শ্ববর্তী উপজেলা, জেলা সদর হাসপাতাল, অথবা প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম শহরে যেতে হচ্ছে। এতে সময়, অর্থ ও শ্রমের অপচয় হওয়ার পাশাপাশি অনেক ক্ষেত্রে সংকটাপন্ন রোগীরা হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মারা যাচ্ছেন।
বিশেষ করে দুর্গম পাহাড়ি এলাকার গর্ভবতী নারীদের জন্য এটি সবচেয়ে বড় দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা সুবিধা না থাকায় অধিকাংশ প্রসূতিকে মানিকছড়ি বা মাটিরাঙ্গা উপজেলায় নিয়ে যেতে হয়। জরুরি চিকিৎসার অভাবে অনেক মা ও নবজাতক ঝুঁকির মুখে পড়েন। স্বাস্থ্যসেবা সংকটের কারণে অপুষ্টিসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন গুইমারা উপজেলার হাজারো মানুষ।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৬ জুন প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) ১০৯তম সভায় খাগড়াছড়ির নবম উপজেলা হিসেবে গুইমারা অনুমোদন লাভ করে। কিন্তু দীর্ঘ এক দশক পার হলেও এখানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মিত হয়নি।
এ বিষয়ে খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. মো. ছাবের জানিয়েছেন, গুইমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্মাণকাজ দ্রুত শুরু করার জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
গুইমারার সাধারণ জনগণ অবিলম্বে আধুনিক মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :