মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সেনা-বিজিপি ও শুল্ক কর্মকর্তাদের হস্তান্তর


admin প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪, ৬:২৫ অপরাহ্ন /
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সেনা-বিজিপি ও শুল্ক কর্মকর্তাদের হস্তান্তর

মোহাম্মদ ইউনুছ, নাইক্ষ্যংছড়ি : নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসা সেনা, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য, শুল্ক কর্মকর্তাসহ ৩৩০ জনকে মিয়ানমারে হস্তান্তর করেন বিজিবি। দীর্ঘ সময় যাচাই-বাছাই শেষে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে তাদের ফেরত পাঠানো হলো। বিদ্রোহী গ্রুপ আরাকান আর্মির সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে প্রাণভয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে তারা।

১৫ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে তাদের কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী নৌবাহিনী জেটিঘাট থেকে প্রথম ধাপে ১৬৫ জনকে মিয়ানমারের জাহাজে তুলে দেয়া হয়। এরপর বাকিদেরও একে একে তুলে দেয়া হবে বলে জানান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। এ সময় সেখানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমার রাষ্ট্রদূত অং কিয়াও মোয়েও উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে মিয়ানমারের ৫ সদস্য বিশিষ্ট বিজিপি প্রতিনিধি দল কক্সবাজারের ওই জেটিঘাটে এসে পৌঁছায়। ওই জাহাজটি থেকে মিয়ানমারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলটিকে কোস্টগার্ডের একটি জলযান ইনানী জেটিঘাটে নিয়ে আসে। এ সময় তাদের স্বাগত জানান বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এদিকে ভোর ৪টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত ও টেকনাফ থেকে বিজিবির কড়া পাহারায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য, শুল্ক কর্মকর্তাসহ ৩৩০ জনকে কক্সবাজারের ইনানীর নৌ-বাহিনীর জেটিঘাটে আনা হয়। সেখানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার বিষয়ক পরিচালক মো. রাকিবুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব মো. রাশেদ হোসেন চৌধুরী, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী এবং মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের মধ্যে বিদ্রোহীরা বিজিপির তুমব্রু রাইট ক্যাম্পসহ কয়েকটি সীমান্ত ফাঁড়ি দখল করে নিলে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা ৪ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করে। এসময় তাদের নিরস্ত্র করে বিজিবি হেফাজতে রাখা হয় ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ে, পরে তাদের মধ্যে ১০০ জনকে সরিয়ে নেয়া হয় টেকনাফের হ্লিলায়। এর মধ্যেই তাদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশের তরফ থেকে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়।