আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক অংচিংনু মারমার চিকিৎসা-সেবায় সুস্থ হয়েছেন সহস্রাধিক রোগী


admin প্রকাশের সময় : এপ্রিল ৩০, ২০২৪, ৯:১৩ অপরাহ্ন /
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক অংচিংনু মারমার চিকিৎসা-সেবায় সুস্থ হয়েছেন সহস্রাধিক রোগী

খোকন বিকাশ ত্রিপুরা জ্যাক : আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক অংচিংনু মারমার চিকিৎসা-সেবায় খাগড়াছড়ি জেলা সদরেই সুস্থ হয়েছেন সহস্রাধিক রোগী। খাগড়াছড়ি সদরস্থ পশ্চিম নারানখাইয়া এলাকায় নিজস্ব চেম্বারে বিভিন্ন ধরনের রোগীদের চিকিৎসা প্রদান করে আসছেন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক অংচিংনু মারমা। তাঁর চিকিৎসা সেবায় বহু রোগী সুস্থ্য হয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চেম্বারে রোগীদের উপচেপড়া ভিড়। কৌতুহলবসত জিজ্ঞাসা করার পর কৃষি গবেষণা থেকে আগত সনজিৎ বালা নাথ বলেন,আমি কিডনীতে পাথর ছিল। অংচিংনু মারমা’র চেম্বারে এসে মাত্র তিনদিনেই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় আমি এখন সম্পুর্ণ সুস্থ্য হয়েছি। আমি আগে বিশ্বাস করতাম না। এখানে এসে চিকিৎসা নিয়ে আমি পুরোপুরি সুস্থ্য হয়েছি।
এ ব্যাপারে রোগীর ছেলে উজ্জল মালাকার জানান,আমার বাবা কিডনী পাথর রোগে আক্রান্ত ছিল। বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করেও কোন সুরাহা না পেয়ে অংচিংনু মারমা’র নিকট আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে সম্পূর্ণ হয়েছেন। আমি বাবার চিকিৎসার জন্য মাত্র ১২০টাকা দিয়েছি। বর্তমানে বাবা সুস্থ্য আছে। এজন্য আমার পরিবার তার প্রতি কৃতজ্ঞ ।
জানা যায়,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত পাহাড়ী বৈদ্য শাস্ত্রীয় বহুমুখী কল্যাণ সমিতি’র সদস্য আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক অংচিংনু মারমা খাগড়াছড়িতে নামমাত্র ১২০টাকা মূল্যে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। একই সাথে তিনি বিভিন্ন ধরনের মানব সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান,আমরা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক অংচিংনু এর কার্যক্রম খুব কাছ থেকে দেখেছি,বাস্তবে দেখতে পাচ্ছি যে,উনার নিকট অনেক রোগী চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরছে। একাধারে মানবিক ব্যক্তিও তিনি।
উপকার পেয়েছেন এমন কয়েকজন রোগীর অভিভাবকের সাথে কথা বলে তার আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার সুফল সম্পর্কে জানা গেছে। ব্যবসায়ীক চিন্তা ভাবনা তার কাছে নেই বললেই চলে। তিনি মানব সেবায় নিয়োজিত আছেন বলে আগত রোগীরা জানিয়েছেন।
সিঙ্গিনালা থেকে আগত এক রোগীর পিতা বিদ্যুৎ চাকমা জানান,আমার মেয়ে কথা বলতে পারতোনা, এমনি কোন ধরনের গলার স্বর ছিলোনা। বর্তমানে এখানে চিকিৎসা নিয়ে আমার মেয়ের গলার স্বর ফিরে আসছে। সে এখন শব্দ করতে পারছে। আমি অবাক হয়েছি তার এমন চিকিৎসায়।
পেটের ব্যথায় আগে আমার স্বাভাবিক জীবন যাপন প্রায় বেঁকে বসেছিলো। এখানে চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে আমি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছি।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় সুস্থ হওয়া কাপ্তাই থেকে আসা রোগী জানান,দীর্ঘবছর যাবৎ ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলাম। দুই বছর ধরে অনেক চিকিৎসা করিয়েছিলাম। কোন সুফল না পাওয়ায় এখানে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে আমি মোটামুটি সুস্থ্য হয়েছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক অংচিংনু মারমা বলেন,আমি নামমাত্র ১২০টাকার মূল্যে রোগীদের সেবা দিয়ে থাকি। আমি কোনদিন অর্থের চিন্তা করিনা। পাহাড়ী- বাঙ্গালী কোন ভেদাভেদ নেই আমার কাছে। সব মানুষকে কাঙ্খিত সেবা দেওয়াই আমার মূল লক্ষ্য। মানবসেবা ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এই সেবা দিয়ে থাকি। আমি মনে করি মানব সেবাই পরম ধর্ম। পাহাড়ী-বাঙ্গালী আমার চেম্বারে চিকিৎসা নিতে আসেন। আমার সাধ্যমতো তাদেরকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকি।