সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, বিলাইছড়ি প্রতিনিধি:-রাঙ্গামাটি জেলাধীন বিলাইছড়ি উপজেলার বুদ্ধি ও মানসিক প্রতিবন্ধী অসহায় দুই ভাই মানবেতর জীবনযাপন করছে।
জানা যায় ১ নং বিলাইছড়ি ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের দোসরী পাড়ার বাসিন্দা মারুল চান তঞ্চঙ্গ্যার বড় ছেলে রুইয়াপু তঞ্চঙ্গ্যা ও ছোট ছেলে চবাইয়া তঞ্চঙ্গ্যা। তারা দুজনই বুদ্ধি ও মানসিক প্রতিবন্ধি ।
পূর্বে রুইয়াপু ভালো ছিলো। তখন তিনি বিয়ে করে সংসারও করেন। রুইয়াপুর স্ত্রী সন্তান জন্ম দেওয়ার পরপরই মারা যায়। কিছুদিন পর তার সন্তানও মারা যায়। প্রাণ প্রিয় স্ত্রী ও একমাত্র আদরের কন্যা সন্তানকে হারিয়ে শোকে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে বর্তমানে মানসিক প্রতিবন্ধী হিসেবে জীবন যাপন করছে।
তাদের নেই কোন জায়গা জমি, নেই বাড়িঘর, অন্যের জায়গায় অস্থায়ী ভাবে বসবাস করছে।
প্রতিবন্ধী ভাইদের অমানবিক দূর্বিষহ জীবন যাপনের কথা চিন্তা করে সমাজের সহৃদয়বান ব্যক্তিদের সহযোগীতা কামনা করছেন এক বৌদ্ধ ভিক্ষু। তাদের একটি বাসস্থান দরকার। অন্যের দয়ার তাদের আহার জোটে।
ভাঙ্গা বসতঘরখানা দোছড়ি পাড়ার লোকজন নির্মাণ করে দিয়েছিল। জ্বলানি কাঠ সংগ্রহ করা না থাকলে ঘরের বেড়া গুলো খোলে আগুন জ্বালিয়ে রান্না করে। যার কারণে বাড়ি ঘরের এই অবস্থা। তারা দুই ভাই একটা ছোট রুমে বসবাস করে। তাদের নেই কোন স্বাস্থ্যসম্মত সেনিটেশন ব্যবস্থাও। খাওয়ার সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেই, নেই কাপড় চোপড়ও। সমাজ থেকে যা সংগ্রহ করে দেওয়া হয় তাই খেয়ে জীবন রক্ষা করে তারা। তাদের সহযোগিতার জন্য যোগাযোগের নাম্বার -০১৮৯০০৩৪৯৫৬।
বিলাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি দেওয়ান জানান, ইউনিয়ন পরিষদ হতে কিছুটা হলেও সাহায্য করে থাকি। তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো থাকার ঘর। আমি এবিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) দীলিপ কুমার বড়ুয়া জানান, তারা প্রতিবন্ধি হিসেবে সমাজসেবা অফিস হতে ভাতা পেয়ে থাকেন। এগুলো তাদের পর্যাপ্ত নয়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জানান, বাড়ি নির্মানের জন্য বরাদ্ধ নাই। যেগুলো আছে সেগুলো শেষ হয়েছে। বরাদ্ধ আসলে যাচাই বাছাই করে বিবেচনা করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :