তামাক চাষ নিরুৎসাহিত করতে দীঘিনালায় কৃষক ক্যাম্পেইন

মো: সোহেল রানা : কৃষিই সমৃদ্ধি এ প্রতিপাদ্যে তামাক চাষ নিরুৎসাহিত করতে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় কৃষক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৫মার্চ সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক নিদের্শনায় বাবুপড়া এলাকায় এনজিও আনন্দ অফিসের সামনে তামাক চাষ নিরুৎসাহিত করতঃ কৃষক ক্যাম্পেইন সম্পর্কে এক আলোচনা করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ মামুনুর রশীদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মো: কাশেম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ নারী ভাইস চেয়ারম্যান মিজ সীমা দেওয়ান, দীঘিনালা থানা অফিসার ইনচার্জ মো: নুরুল হক, তামাক ছেড়ে সফল ভূটা চাষী মো: বোরহান উদ্দিন প্রমূখ।
আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন, তামাক চাষের কারনে সরকার দীঘিনালা উপজেলায় কৃষিতে উন্নয়ন মূলক প্রকল্প দিচ্ছে না। কৃষিতে উন্নয়ন প্রকল্পে সুযোগ সুবিধা তামাক চাষে ব্যবহার করা যাবে না। তামাক চাষ ছাড়া সকল কৃষি কাজে সরকারি সহযোগিতার পরামর্শ প্রদান করা হবে। তামাক চাষ করে সাময়িক লাভবান হওয়া যায়। তামাকের বিষাক্ত নিকোটিন পরিবার ও পরিবারের শিশু স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ভবিষ্যতে তামাক চাষী পরিবারগুলোর সদস্যরা বিশদ আকারে রোগে ভুগবে বর্তমান তামাক চাষের লাভের চারগুন ব্যয় করেও ভালো হবে না। তামাক চাষ ছাড়া মৌসুমি ভিত্তিক বিভিন্ন ফসল চাষ করে লাভবান হওয়ার যায়। এতে করে স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে পরিবেশও সুন্দর থাকে। তামাক চাষ নিরুৎসাহিত করতে হবে এবং তামাকের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পের্কে সকলকে সচেতন হতে হবে।
এতে স্বাগত বক্তব্যে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো শাহাদাত হোসেন বলেন, দীঘিনালায় আগে ৭ শত ৯৪ হেক্টর তামাক চাষ করা হত বর্তমানে ৪শত২০ হেক্টর চামাক চাষ হচ্ছে। কৃষক তামাক চাষে আগ্রহী কারন হলো কোম্পানিগুলো তামাক চাষিদের দাদন দিয়ে থাকে। এবং উৎপাদিত তামাক ক্রয় করে। তবে কৃষক ন্যয্য মূল পায় কি তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তামাক চাষে ৪৮ ধরনের মেডিসিন প্রয়োগ করা হয় যা মাটির জন্য ক্ষতিকর ও হালদা নদীতে মাছের বংশ বিস্তার ধ্বংস হয়েছে। আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আলোচনা সভাশেষে তামাক চাষ ছেড়ে ভূটা চাষ করায় মো: বোরহান উদ্দিনকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।