হারি বৈসু’র মধ্যদিয়ে ত্রিপুরাদের বৈসু উৎসব শুরু


admin প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১৩, ২০২৪, ১২:৩৮ অপরাহ্ন /
হারি বৈসু’র মধ্যদিয়ে ত্রিপুরাদের বৈসু উৎসব শুরু

 

খোকন বিকাশ ত্রিপুরা জ্যাক : খাগড়াছড়িতে বৈসু উপলক্ষে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বৃহৎ সামাজিক উৎসব ঐতিহ্যবাহী “তৈবুকমা-অ- খুম বকনাই, বাই রি কাতাল কাসক-রনাই” যার বাংলা অর্থ ”মা গঙ্গার প্রতি পুষ্প অর্পণ ও নতুন কাপড় নিবেদনের মধ্যদিয়েই “হারি বৈসু” উদযাপিত হয়েছে। এতে প্রতিপাদ্যের বিষয় ছিল” চিনি হুকুমু, চিনি সিনিমুং”যার বাংলা অর্থ “আমাদের সংস্কৃতি,আমাদের পরিচয়”।
এ উপলক্ষ্যে পাহাড়ের সমগ্র ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী নদীতে ফুল বাহারি রঙ্গের ফুল দিয়ে,প্রদীপ জ্বালিয়ে ও ছোট বাচ্চাদের হাতের তৈরি নতৃন রিনাই,রিসা(থামি-খাদি) ও কাপড় ভাসিয়ে ত্রিপুরাদের নিজস্ব রীতি অনুযায়ী ‘হারি বৈসু’র উদযাপন করা হয়।
১২এপ্রিল শুক্রবার সকাল থেকে খাগড়াছড়ির পল্টনজয় পাড়াস্থ চেঙ্গী নদী,খাগড়াপুরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে হাজার হাজার ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণী,বৃদ্ধ-বৃদ্ধা গঙ্গাদেবীকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং ছোট বাচ্চাদের হাতে বুনা ত্রিপুরাদের ঐতিহ্যবাহী নতুন কাপড় নদীতে ভাসিয়ে দেন। এতে বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় প্রদীপ জ্বালিয়ে,নদীতে পুষ্প অর্পণ ও নদীতে নতুন তৈরির কাপড় ভাসিয়ে হারি বৈসু’র উদ্বোধন করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি’র সহ-ধর্মীনি মল্লিকা ত্রিপুরা।

ভোরবেলায় ফুল সংগ্রহ করার প্রতিযোগিতা শুরু হয় এবং এই ফুলের একাংশ দিয়ে পুরো বাড়ি ফুল দিয়ে সাজানো হয় এবং ফুলের আরেক এক অংশ দিয়ে নদীর তীরে, মন্দিরে এবং পবিত্র স্থানে ফুল, ধুপ এবং প্রদীপ জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালিয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে জাতি, সমাজ, দেশ ও বিশ্বের সুখ-শান্তি ও মঙ্গল কামনা করা হয়। ত্রিপুরা তরুণ -তরুণীরা নেচে -গেয়ে এ উৎসবটি পালন করে।
উল্লেখ্য যে,ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর অন্যতম প্রধান উৎসব বৈসু। প্রথম দিনকে বলা হয় হারি বৈসু, দ্বিতীয় দিনকে বৈসুমা/বৈসুকমা এবং তৃতীয় বা শেষ দিনটিকে বলা হয় বিসি কতাল। মূলত আগামি দিনের সুখ ও সমৃদ্ধির জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা হয়। তিনদিন ব্যাপী এই বৈসুর প্রথম দিন হারি বৈসু।