মো: সোহেল রানা :
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পরিবেশবান্ধব চাষাবাদ, পুষ্টি উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে পার্টনার ফিল্ড স্কুল (PFS)-ধান প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সনদপত্র প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১১টায় দীঘিনালার কবাখালী ইউনিয়নের জয় কুমার কার্বারী পাড়ায় এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এটি কৃষি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে পরিচালিত “পার্টনার” প্রকল্পের অংশ, যা বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।
প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া ২৫ জন কৃষকের মাঝে ধান চাষ সংক্রান্ত আধুনিক কৃষি পদ্ধতি, পুষ্টিকর ও টেকসই খাদ্য উৎপাদন, শস্য বহুমুখীকরণ এবং উদ্যোক্তা হওয়ার বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে তাদের সনদপত্র প্রদান করা হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শাহাদাত হোসেন। বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ সোহেল রানা, উপজেলা উপসহকারী উদ্ভিদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা পরেশ চাকমা ও কৃষি উপসহকারী অফিসার লিটন চাকমা।
কৃষি কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, পার্টনার প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো খোরপোষ কৃষিকে বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরের মাধ্যমে দেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এ প্রকল্পে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর চাষাবাদ, স্মার্ট কৃষক কার্ড, নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষা, নারী ও তরুণ উদ্যোক্তা তৈরি সহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দীঘিনালা উপজেলায় পর্যায়ক্রমে ৩৫টি PFS কেন্দ্র চালু করা হবে, যার মধ্যে ১৮টি ইতোমধ্যে চালু হয়েছে।
সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ সোহেল রানা বলেন, জমির পরিমাণ কমছে তাই এক জমিতে একাধিক ফলন নিশ্চিত করতে হবে। ধানের পাশাপাশি ডাল, মসলা এবং পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ফসল চাষে গুরুত্ব দিতে হবে।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কৃষক কৃর্তীশ্রী কোক চাকমা জানান, তিনি এখন বৈজ্ঞানিক ও অর্গানিক পদ্ধতিতে চাষ করতে সক্ষম হবেন এবং নিজের উদ্যোগে খামার গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছেন।
আপনার মতামত লিখুন :