মোঃ আবদুল আলী : খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলায় সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জেলা প্রশাসক ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও এলাকাবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এসময় তিনি বলেন, “প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে থাকবে। পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে এবং যারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের চিকিৎসার দায়িত্ব প্রশাসন গ্রহণ করবে।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল জানান, নিহতদের পরিবারের সদস্যদের মামলা করার আহ্বান জানানো হয়েছে। তারা মামলা না করলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।
এসময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা, মারমা ঐক্য পরিষদের সভাপতি ম্রাসাথোয়াই মারমা, গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আইরিন আক্তার, গুইমারা থানার ওসি এনামুল হক চৌধুরীসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে নিহত থোয়াইচিং মারমার পরিবারকে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ১ লাখ টাকা ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। অন্য দুই নিহত পরিবারের প্রতিটিকে জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১ লাখ টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থ ৮০ পরিবারের মাঝে ৩০ কেজি করে চাল ও কাপড় বিতরণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, খাগড়াছড়িতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকা সড়ক অবরোধে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। প্রশাসনের ১৪৪ ধারা জারি সত্ত্বেও গুইমারায় অবরোধকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। সহিংসতায় কয়েকটি সরকারি অফিস, দোকানপাট ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং হামলায় সেনাবাহিনীর অন্তত ১৩ সদস্য আহত হন। সংঘর্ষে তিনজনের প্রাণহানি ঘটে।
আপনার মতামত লিখুন :