সিন্দুকছড়ি জোনের উদ্যোগে মানবিক সহায়তা ও বিনামূল্যে মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন


admin প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৩, ২০২৪, ৭:৫২ অপরাহ্ন /
সিন্দুকছড়ি জোনের উদ্যোগে মানবিক সহায়তা ও বিনামূল্যে মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন

 

আবদুল আলী : পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখার লক্ষ্যে গুইমারা রিজিয়নের অন্তর্গত সিন্দুকছড়ি জোন নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ধরনের জনকল্যাণমূলক কর্মসূচী পরিচালনা করে আসছে। জোনের দায়িত্বপূর্ণ এলাকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি আর্থ সামাজিক উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনার মাধ্যমে খাগড়াছড়ি জেলা তথা দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে এই জোন।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৩ নভেম্বর সিন্দুকছড়ি জোন কর্তৃক জোনের দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মাঝে সিন্দুকছড়ি আর্মি ক্যাম্পের আওতাধীন বড়পিলাক প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বিদ্যুৎ বিহীন পরিবারের মাঝে আলোর ব্যবস্থা করার জন্য সোলার প্যানেল, বেকারত্ব দূরীকরণে সুবিধা বঞ্চিত মানুষের মাঝে সেলাই মেশিন, আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের বসবাসের নিমিত্তে ঘর নিমার্ণের জন্য ঢেউটিন, প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কীটনাশক স্প্রে করার মেশিন, ট্রাভেল ব্যাগ, বিভিন্ন ক্লাবের মাঝে খেলাধূলা সামগ্রী, গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ব্যাগ ও বই, মন্দিরের জন্য মাইক, গরীব পরিবারের মাঝে বেবিফুড এবং ড্রেস, আসন্ন শীত মৌসুমে দুঃস্থ মানুষের বসবাস যেন কষ্টকর না হয় তার জন্য কম্বল, শিক্ষার্থীদের মাঝে সোয়েটার, অসহায় পঙ্গু মানুষদের মাঝে ক্র্যাচ এবং গরীব পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ প্রদানসহ সর্বমোট ১২০ জন সুবিধাভোগীর মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

এছাড়া ৩৬২ জনকে চিকিৎসা সেবা প্রদান ও বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ করেন সিন্দুকছড়ি জোনের মেডিক্যাল অফিসার ক্যাপ্টেন নাহিয়ান কবির ও ক্যাপ্টেন সুমাইয়া রহমান, সিএমএইচ গুইমারা। উক্ত মানবিক কর্মকান্ডে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম, এসপিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, এমফিল, কমান্ডার ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড ও রিজিয়ন কমান্ডার, গুইমারা রিজিয়ন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিন্দুকছড়ি জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল সৈয়দ পারভেজ মোস্তফা, পিএসসি, জি, রিজিয়ন ও জোনের অন্যান্য অফিসার্সবৃন্দ, ইউএনও গুইমারা, গুইমারা থানা অফিসার ইনচার্জসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। রিজিয়ন কমান্ডার উপস্থিত সকলকে সম্প্রীতি বজায় রেখে একত্রে মিলেমিশে বসবাসের পরামর্শ প্রদান করেন। এলাকার শান্তি, শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য দলমত নির্বিশেষে সকলের সহযোগীতা কামনা করে ভবিষ্যতেও এই ধরনের জনসেবামূলক কর্মকান্ড অব্যাহত থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।