পাহাড়ে টমেটো চাষে সফলতার হাতছানি-


admin প্রকাশের সময় : জানুয়ারি ৩০, ২০২৪, ৮:১৮ অপরাহ্ন /
পাহাড়ে টমেটো চাষে সফলতার হাতছানি-

মো: আরিফুল ইসলাম : পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গাতে এগ্রো ওয়ান লিমিটেডের স্মার্ট-১২১৭ জাতের টমেটো চাষ করে সফল হয়েছেন চাষি মো: আবু সাঈদ। ৪ একর পাহাড়ে উৎপাদিত টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। সারি সারি গাছে সুতো আর বাঁশের কঞ্চিতে ঝুলছে লাল টকটকে টমেটো।

টমেটো চাষে সফল চাষি আবু সাঈদ জানান, তিনি ঢাকা থেকে পাহাড়ে ২০২২ সালে তার বন্ধুর আম বাগানে ঘুরতে এসে দেখেন যে পাহাড়ের মাটিতে কৃষির অপার সম্ভাবনা রয়েছে। তার পর ২০ একর জায়গা লিজ নিয়ে চাষাবাদ শুরু করেন তিনি। ২০ একরের মধ্যে ৪ একর জায়গায় টমেটো চাষে ১৬ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। টমেটোর ফলন অনুযায়ী যদি মাঝারি দামেও বিক্রি করেন তাহলে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বগুরা থেকে এগ্রো ওয়ান লিমিটেডের স্মার্ট-১২১৭ জাতের টমেটোর চারা নিয়ে এসে রোপনের ৬০ থেকে ৭০ দিনের মধ্যে এ-সব টমেটো বাজার জাত করা হচ্ছে।

আবু সাঈদ এর সাফল্যে উদ্যোগী করেছে স্থানীয় অনেক চাষিকে। টমেটো চাষকে কেন্দ্র করে বিপুল সংখ্যক মানুষ বর্তমান সময়ে এই চাষের সাথে সংশ্লিষ্ট হওয়ায় বহু শ্রমজীবী পরিবার জীবন জীবিকার ক্ষেত্র হিসেবে টমেটো চাষের কাজে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।

আমাদের দেশে নানান ধরনের সবজি উৎপাদিত হয়। দেশে শীতকালীন সময়ে বহুবিধ সবজির উপস্থিতি দেখা যায়। আমাদের দেশে অতিপরিচিত এবং ভিটামিন ও পুষ্টি সমৃদ্ধ সবজি হিসেবে টমেটোর গুনের শেষ নেই।

সারা বিশ্বে আলুর পরই টমেটো উৎপন্ন হয়। অধিকাংশ দেশেই টমেটো অন্যতম প্রধান সবজি। টমেটো কাঁচা-পাকা এবং রান্না করে খাওয়া হয়। প্রতি মৌসুমে বিপুল পরিমাণ টমেটো- সস, চাটনি, জুস ইত্যাদি তৈরিতে ব্যহৃত হয়। টমেটোর পুষ্টির পাশাপাশি ভেষজ মূল্যও আছে, এর শাঁস ও জুস হজম কারক, ক্ষুধা বর্ধক এবং রক্ত শোধক হিসেবেও কাজ করে।

আমাদের দেশে ইতিপূর্বে কম ফলনশীল এবং শীত মৌসুমে কেবল মাত্র টমেটো চাষ হলেও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি আর নতুন উদ্ভাবিত জাতের কল্যাণে সারা বছরই টমেটো চাষ হচ্ছে এবং চাষীরা লাভবান হচ্ছে। এরি ধারাবাহিকতায় পাহাড়ের মাটিতে জৈব সার ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব মালচিং পদ্ধতিতে খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গা উপজেলার গোমতী ইউনিয়নে অধিকতর উৎপাদনশীল টমেটো বাগান করে ব্যাপক ফলন হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেন তিনি।