পানছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় পড়ালেখার পাশাপাশি মাশরুম চাষ করে নজর কেড়েছে দুই শিক্ষার্থী। দুই মাশরুম চাষীর নাম বর্ষন চাকমা ও নার্সি চাকমা। বর্ষন উপজেলার বাবুড়া পাড়া এলাকার রুপায়ন চাকমা সন্তান এবং নার্সি একই এলাকার বাবু চাকমার সন্তান। বর্ষন খাগড়াছড়ি সরকারী টেকনিক্যাল কলেজ ও নার্সি পানছড়ি সরকারী ডিগ্রী কলেজে অনার্সের শিক্ষার্থী।
জানা যায়, পড়ালেখার পাশাপাশি নিজ বাড়িতে ঘরের মাঝে তারা সাজিয়েছে মাশরুম। বাঁশের মাঝে সারি সারি ঝুলে থাকা মাশরুমের প্যাকেটগুলো দেখতেও বেশ চমৎকার। নার্সি বিগত তিন বছর ধরেই চাষ করে আসছে। দুই হাজার টাকা পুজি দিয়ে মাশরুম চাষ করে বর্তমানে সে নিজেই স্বাবলম্বী। পাশাপাশি চলছে নিজের পড়ালেখার খরচ। বর্তমানে তার ১৫০টি প্যাকেট আছে বলে জানায়।
বর্ষন চাকমার রয়েছে ৭০টি প্যাকেট। খড় সিদ্ধ করে শুকিয়ে জীবানুমুক্ত করে রাঙামাটি থেকে বীজ এনে নিজেই প্যাকেটিং করে। বর্তমানে প্রতিটি প্যাকেট থেকেই মাশরুম বের হচ্ছে। লাভবান হওয়ার ব্যাপারে সে আশাবাদী। তবে কোন ধরণের প্রশিক্ষণ ছাড়াই তারা মাশরুম চাষে সফলতা পেতে শুরু করেছেন। দ’ুজনের স্বপ্ন কৃষি অফিস তাদের পাশে থাকলে ভবিষ্যতে তারা সফল উদ্যেক্তা হবেন।
এলাকার দায়িত্বে থাকা উপ-সহাকারী কৃষি কর্মকর্তা নিমাই দেবনাথ তাদের পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতা দেয়ার কথা জানান। উপজেলা কৃষি অফিসার নাজমুল ইসলাম মজুমদার জানান, দুই শিক্ষার্থী পড়ালেখার পাশাপাশি মাশরুম চাষ করছে শুনে খুবই ভালো লাগছে। কঠোর পরিশ্রম ও অদম্য ইচ্ছা থাকায় ছাত্রজীবনেই পড়ালেখার পাশাপাশি মাশরুম চাষে দু’জন নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে চলেছেন। তারা মাশরুম চাষের উপর উন্নতর প্রশিক্ষণ নিতে চাইলে মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউট চোবহানবাগ সাভারে পাঠানার ব্যবস্থা করে দেয়া হবে। তখন তারা নিজেরাই মাশরুম বীজ উৎপাদন করতে পারবে।
আপনার মতামত লিখুন :