শাহজাহান কবির সাজু : উপজেলা প্রকৌশলীর আশায় থেকে থেকে শেষ পর্যন্ত গ্রামবাসীরাই সংস্কার করে নিয়েছে তাদের নিত্য চলাচলের রাস্তা। আজ হচ্ছে কাল হচ্ছে দীর্ঘদিন এমনিই আশ^াস দিয়ে আসছিল উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল খালেক। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। অবশেষে রাগে ক্ষোভে এলাকাবাসীরা স্বেচ্ছাশ্রমেই মেরামত করেছে চলাচলের রাস্তা। এমনিই কথা জানালেন ১নং লোগাং ইউপির সুখমনি পাড়া, ভারতবর্ষপাড়া, শান্তিরঞ্জন পাড়া, কর্গ পাড়া, প্রেম কুমার পাড়া, হাতিমারা, মাচ্ছ্যাছড়া, বাত্যাপাড়া, রবিধন পাড়াসহ কয়েক গ্রামের পথচারীরা। ভারতবর্ষপাড়ার কলেজ পড়ুয়া তিশা চাকমা জানায়, হাঁটু সমান কাঁদা দিয়েই নিত্য চলাচল করি। তাছাড়া বিদ্যালয়ে পড়ুয়া ক্ষুদে শিক্ষার্থীরাও যাতায়াত করে এ রাস্তা দিয়ে। এলাকাবাসী মিলে কোন রকম চলাচলের উপযোগী করে তোলায় কিছুটা হলেও রক্ষা।
আনন্দ মোহন পাড়ার প্রতোদ চাকমা জানান, উপজেলা প্রকৌশলীর অবহেলার কারণেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এই গুরুত্বপূর্ন রাস্তাটির কাজ ধরছে না। তাই রাগে-ক্ষোভে স্বেচ্ছাশ্রমেই এলাকাবাসী রাস্তাটির কাঁদাযুক্ত স্থানগুলো মেরামত করেছে।
জানা যায়, পানছড়ি উপজেলার ১নং লোগাং ইউপির বাবুড়া পাড়া থেকে ভারতবর্ষপাড়া হয়ে সুখমনিপাড়া যাওয়ার প্রায় ১২০০ মিটার রাস্তার কাজের প্রকল্পের অনুমোদনসহ সকল কার্যাদি সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু দু’মাস পার হলেও আজো কাজ শুরু করা হয়নি। উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান চন্দ্র দেব চাকমা জানায়, কাজের সাইড বুঝিয়ে দেয়ার পরও কাজ ধরা হচ্ছেনা। অথচ সাত দিনের মধ্যে কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। জনদুর্ভোগ এখন চরম পর্যায়ে। উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল খালেক জানান, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু হবে সপ্তাহ খানেক অপেক্ষা করেন। এক সপ্তাহ পর কথা হলে তিনি জানান, ২০২৪ সালের মে মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার মেয়াদ রয়েছে। তারপরও দেখি কি করা যায়।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কে আলম এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী মো: খোরশেদ আলম জানান, রাস্তাটি দিয়ে বিকল্প চলার কোন ব্যবস্থা নাই। প্রতিনিয়তই বৃষ্টি হচ্ছে তাছাড়া রাস্তাটি কাঁচা। এ মুহুর্তে কাজ ধরলে জনদূর্ভোগ আরো বেড়ে যাবে। সেদিক চিন্তা করে কাজ শুরু হতে বিলম্ব হচ্ছে। তাছাড়া কাজ শেষ করার সময় সীমা ২০২৪ সালের মে মাস পর্যন্ত রয়েছে বলেও তিনি জানান।
আপনার মতামত লিখুন :