পরেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্নে বাঁধা আর্থিক সমস্যা


admin প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২৩, ২০২৪, ৪:৫৭ অপরাহ্ন /
পরেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্নে বাঁধা আর্থিক সমস্যা

শাহজাহান কবির সাজু : তিন ভাই এক বোনের মাঝে সবার ছোট পরেশ। বাবা পেশায় দিনমজুর। পরেশের স্বপ্ন উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবে। তাই মাধ্যমিকের গণ্ডি থেকেই শুরু করে টিউশন। টিউশনের টাকা দিয়েই চলতো এসএসসি ও এইচএসসির পড়া-লেখা, শিক্ষা সামগ্রী, পোশাকাদি ক্রয়সহ যাবতীয় খরচ। দিনমজুর বাবাকে কাজে সহায়তা করে ঠিক রেখেছে নিজের পড়া-লেখা। আর তাতেই আসে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ। অজপাড়া গাঁ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পাওয়া সেই মেধাবীর পুরো নাম পরেশ কুমার ত্রিপুরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার খবরে সে খুশির বদলে মানসিক টেনশনে আছে বলে জানায়। কোন রকম ভর্তির টাকা সংগ্রহ হলেও মাসিক খরচের টাকার চিন্তায় তাঁর ঘুম আসছে না। টাকার অভাবে শেষ পর্যন্ত বিশ^বিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন পূরণ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে আছে।
পরেশ পানছড়ি উপজেলার কুড়াদিয়া ছড়ার পাশ ঘেঁষা গর্জনটিলা পাড়ার তুলা মোহন ত্রিপুরা ও বকুল বালা ত্রিপুরার সন্তান। গর্জনটিলা পাড়াটি খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া ইউপিতে অবস্থিত।
পানছড়ি উপজেলার নালকাটা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ ৪.৭৮ ও খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ থেকে ৩.৯২ পেয়ে সে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করে। বর্তমানে নোয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে কৃতকার্য হয়েছে। বিবিএ ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিষয় নিয়ে সে পড়বে। উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ভবিষ্যতে ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে তাঁর। এ ব্যাপারে সকলের আশীর্বাদ প্রার্থী।
নালকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিছ দত্ত চাকমা জানান, পরেশ এই বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেছেন। তাঁর আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ। বাবা-মা দু’জনেই দিনমজুরি করে সংসার চালায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া তাঁর জন্য খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তার পড়ালেখার খরচের জন্য বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
ভাইবোনছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সুজন চাকমা জানান, পরিবারটি সম্পর্কে আমার জানা নেই। কেউ যোগাযোগও করেনি। যোগাযোগ করলে আমি সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো।