দীঘিনালায় তামাকের থাবায় তরমুজের আকাল- হাটবাজারে চড়া দামে বিক্রয় হচ্ছে তরমুজ


admin প্রকাশের সময় : মার্চ ১০, ২০২৪, ৯:৫১ অপরাহ্ন /
দীঘিনালায় তামাকের থাবায় তরমুজের আকাল- হাটবাজারে চড়া দামে বিক্রয় হচ্ছে তরমুজ

মো: সোহেল রানা : খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় স্থানীয় হাট-বাজারে এবছর নতুন তরমুজ বিক্রয় শুরু হয়েছে। দীঘিনালা উপজেলায় স্থানীয় ভাবে তরমুজ চাষ নাই বললেই চলে। উপজেলার আনাচে কানাচে এখন শুধু তামাক আর তামাক চাষ হয়। আগে মাইনী নদীর দুই ধারে আলু, পিয়াজ, টমেটো, ফুল কপি, বাঁধা কপি, তরমুজ, বাংঙ্গিসহ নানা জাতের শাক-সবজি চাষ করত কৃষকরা। এখন উপজেলায় শাক-সবজি একে বারে কম চাষ করছে কৃষকরা। তামাক চাষ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর জেনেও তামাক চাষে ঝুঁকছে চাষীরা। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সমতলের কুমিল্লা নিমশা বাজার ও ময়মনসিংহের গেীরিপুর বাজার থেকে শাক-সবজি পাইকারী এনে বিক্রয় করছে। এক সময় ব্যবসায়ীরা দীঘিনালা উপজেলা থেকে শাক-সবজি নিয়ে সমতলের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করত। তামাকের আগ্রাসনের কারনে এখন তার উল্টোটা হচ্ছে। উপজেলার কোথাও খুজে পাওয়া যায়নি তরমুজের বানিজ্যিক চাষ। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলা ও সমতলের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে তরমুজ পাইকারী ক্রয় করে এনে বিক্রি করতে হয়। সরেজমিনে হাট-বাজারে গিয়ে দেখা যায়, গত বছরের তুলনায় এবছর তরমুজের দাম অনেক বেশি। বড় আকারে তরমুজ ৫শত থেকে সাড়ে ৬শত টাকা আর ছোট আকারের তরমুজ ২শত থেকে ২শত ৫০টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। গত বছর বড় আকারের তরমুজের দাম ছিল ৩শত টাকা থেকে ৩শত ৫০ টাকা আর ছোট আকারের তরমুজ দাম ছিল ১শত ২০ থেকে ১শত ৫০টাকা।
বোয়ালখালী নতুন বাজরের তরমুজ ব্যবসায়ী মো: মিরাজ হোসেন বলেন, দীঘিনালা উপজেলার কোথাও তরমুজ চাষ করে না চাষিরা, তামাক বেশি চাষ করে। পাশর্^বতী রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু উপজেলা থেকে পাইকারী তরমুজ কিনে এনে বিক্রয় করতে হয়। লংগদু উপজেলাও এখন কৃষকরা তামাক চাষ শুরু করছে, তরমুজ চাষ কমিয়ে দিয়েছে। এবছর তরমুজের চারা রোপন করার সময় প্রচুর বৃষ্টি হওয়ার কারনে প্রথম ধাপের চারা নষ্ট হয়েছে। ২য় ধাপে পরে আবার চারা রোপন করতে হয়েছে, ফালে ফলন হয়েছে কম, তাই এবছর তরমুজের দাম বেশি।
তরমুজ কিনতে এসে সমির চাকমা বলেন, বছরের প্রথম তরমুজ কিনেতে এসেছি, গত বছরের চেয়ে এবছর তরমুজের অনেক দাম। বড় সাইজের তরমুজ দাম চাচ্ছে ৫শত থেকে সাড়ে৫শত টাকা। গবীর মানুষেরা তরমুজ কিনে খাওয়া সম্ভব হবে না।
দীঘিনালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: শাহাদাত হোসেন বলেন, দীঘিনালা উপজেলায় প্রায় দুই হেক্টও জমিতে তরমুজ চাষ করা হয়েছিল, তবে প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারনে ফলন আসেনি। দীঘিনালার মাটি বর্তমান জাতের জন্য উপযোগী নয়। তবে আগামী বছর নতুন জাতের তরমুজের বীজ চাষীদেরকে দেয়া হবে। তামাক চাষের কারনেও চাষীরা তরমুজ চাষ করছে না।