দীঘিনালায় আখ চাষে সফল ফজল মিয়া


admin প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩, ৬:০৩ অপরাহ্ন /
দীঘিনালায় আখ চাষে সফল ফজল মিয়া

মো: সোহেল রানা :
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় আখ চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। দীঘিনালা উপজেলা তামাকের আখড়া নামেখ্যাত। তামাক চাষ ছেড়ে অনেক কৃষক আঁখ চাষে করছে। আঁখ একবার রোপন করলে ২/৩বছর ফলন পাওয়া যায়। আঁখ চাষে লাভ বেশি খরচ কম। প্রতি ৪০শতাংশ জমিতে আঁখ উৎপাদন করতে খরচ হয় প্রায় ৭০/৮০হাজার টাকা। বিক্রয় করা যায় ২লক্ষ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা । স্থানীয় বাজারে আঁখের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
আঁখ চাষি মো: ফজল মিয়া বলেন, আমি তামাক চাষ করি, তামাক চাষে কষ্ট বেশি। এখন আমি তামাক চাষ কমিয়ে দিয়েছি। শাক সবজি, আলু, ধান চাষ করি। গত দুই বছর ধরে আমি আঁখ চাষ করছি। আমি গত বছর ২৫শতক জমিতে আঁখ চাষ করছি, প্রথম বছর আমার আঁখ খেতে খরচ হয়েছে ৭০/৮০ হাজার টাকা। ১ম বছর আমি ২লক্ষ ২৫হাজার টাকার আঁখ বিক্রয় করেছি। এবছর আঁখ খেতে প্রায় ৪০/৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি পিচ আঁখ ৫৫টাকা ধরে পাইকারী বিক্রি করছি। এই বছরও ২লক্ষ টাকার মত বিক্রয় আসবে আশা করছি। তামাক চাষের চেয়ে লাভ বেশি কি না এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, তামাক চাষের চেয়ে লাভ ডাবল। আঁখ চাষে ঝুঁকি কম, ঘুর্নিঝড় শিলা বৃষিতে আঁখ তেমন ক্ষতি হয়না। কিন্তু তামাক গাছ ঘুর্নিঝড় শিলা বৃষি হলে প্রচুর ক্ষতি হয়। অনেক সময় তামাক চাষে লোকসান হয়।
আঁখের রস বিক্রেতা মো: হাশেম মিয়া বলেন, দীঘিনালায় আখের রসের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আমি মাইনী ব্রীজ এলাকায় নিয়মিত মেশিন দিয়ে আঁখ রস রেব করে বিক্রি করি। এই রাস্তা দিয়ে সাজেকে পর্যটক আসা যাওয়া করে। আমি প্রতি পিচ আঁখ ৪০/৫০টাকা করে চাষিদের কাছ থেকে পাইকারি কিনে এসে রস করে, প্রতি মাঝরি গ্লাস ১০টাকা আর বড় গ্লাস ২০টাকা করে বিক্রয় করি।
দীঘিনালা কৃষি কর্মকর্তা মো: শাহাদাত হোসেন বলেন, এবছর দীঘিনালা উপজেলা ১৪০হেক্টর জমিতে আঁখ চাষ হয়েছে। আঁখ একটি অর্থকরী লাভ জনক ফসল। দীঘিনালায় আঁখ চাষের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। আঁখ চাষে খরচ কম, কষ্টও কম। একই জমিতে একবার আঁখ চাষ করলে তিনবার ফলন ভোগ করা যায়। আঁখ একটি দীর্ঘ মেয়াদী ফসল। তাই আঁখের সাথে সাথী ফসল হিসেবে শাক সবজি এবং ডাল জাতীয় ফসলও চাষ করা যায়।