জনরোষে বন্দুকের নলও বাঁকা হয়ে যায়. . . সম্প্রীতি সমাবেশে ওয়াদুদ ভূইয়া

আবদুল আলী, বিশেষ প্রতিনিধি : শান্তি, সম্প্রীতি, সহবস্থান ও উন্নয়নের লক্ষ্যে গুইমালা বিএনপির উদ্যোগে সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকালে গুইমারা বাজারে কাশেম মার্কেটের সামনে গুইমারা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরমান হোসেনের সঞ্চালনায় ও সভাপতি সাইফুল ইসলাম সোহাগের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির কর্মসংস্থান বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়া।

সম্প্রীতি সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রবীণ চন্দ্র চাকমা, সাধারণ সম্পাদক এম.এন. আবছার, যুগ্ম সম্পাদক এ্যাডভোকেট আবদুল মালেক মিন্টু, মোশাররফ হোসেন, অনিমেষ চাকমা রিংকু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রব রাজা, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী কুহেলী দেওয়ান, জেলা যুবদল সভাপতি মাহবুব আলম সবুজ, ছাত্রদল সভাপতি শাহিদুল ইসলাম সুমন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাগর নোমান প্রমূখ।

উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ও অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি জেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল নেতৃবৃন্দও বক্তব্য রাখেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, পাহাড়ের গণমানুষের নেতা ওয়াদুদ ভূইয়াকে আগামী নির্বাচনে জয়ী করতে এখন থেকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ শুরু করতে হবে এবং বিজয়ী করে সংসদে পাঠাতে।

আওয়ামীলীগের আমলে বিএনপিসহ বিরোধী দলের ওপর নির্মম অত্যাচার, নিপীড়ন, হামলা, মামলার কারণে দীর্ঘ সময় ঘর-বাড়ি, সংসার ছেড়ে মানবেতর জীবনযাপন করা নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধান অতিথি ওয়াদুদ ভূইয়া বলেন, গণতন্ত্র হরণকারী আওয়ামী লীগ সরকার গুম, খুন, লুটপাটের স্বর্গরাজ্য বানিয়ে অর্থপাচার করে দেশকে ধ্বংস করে গেছে।
সন্তু লারমা ও পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠনগুলি তথাকথিত শান্তির কথা বললেও,৫৫ বছরেও পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করতে পারেনি,পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে,সংঘাত এড়িয়ে পাহাড়ি বাঙালিদের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা, বিশ্বাস,বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা সৃষ্টি করে শান্তি সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করতে হবে।