প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানা (৪৮) কে উপজাতীয় সন্ত্রাসী কর্তৃক হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। উক্ত প্রতিষ্ঠানের ৩ শিক্ষার্থীসহ ১০জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৪/৫শ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। এসআই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন :- নিমন্ত ত্রিপুরা (২২), টুনশু চাকমা, সজিব চাকমা (১৯), প্রনয় চাকমা (১৯), কোষ চাকমা (২১), টিনটু চাকমা (১৯), অম্লান ত্রিপুরা (২০), আইকন চাকমা (২০), নিউটন মারমা (২০) এবং অনিল চাকমা (১৯)। সজিব চাকমা, প্রনয় চাকমা ও কোষ চাকমা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী। খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আবদুল বাতেন মৃধা জানান, আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে ।
১লা অক্টোবর খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা। ৩/৪ ঘন্টা যাবৎ আটকে রেখে তাকে দফায় দফায় আঘাত করা হয়। সন্ত্রাসীদের তান্ডবে প্রশাসনও তাকে উদ্ধার করে নিরাপদে নিয়ে যেতে পারে নি। সাংবাদিক জিতেন বড়ুয়া, খোকন বিকাশ ত্রিপুরা জ্যাক, মিলন ত্রিপুরাসহ অনেকেই উক্ত প্রতিষ্ঠানে সালিশে বসেছিল। কিন্তু তাকে সন্ত্রাসীদের কবল থেকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় জেলা শহরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিকাল ৩টা থেকে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা ও পৌর শহরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছিল জেলা প্রশাসন। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে বাঙ্গালীদের প্রতি কঠোর অবস্থানে ছিল সেনাবাহিনী। শিক্ষক হত্যায় বাঙ্গালীদের মনে ক্ষোভ থাকলেও সেনাবাহিনীর দূরদর্শি সিদ্ধান্তে বাঙ্গালী সমাজ গুজব, ষড়যন্ত্র এবং সন্ত্রাসীদের পাতানো ফাঁদে পা না দিয়ে নিরবতা পালন করে।
আপনার মতামত লিখুন :