প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মাটিরাঙ্গার গোমতি বাজার সংলগ্ন তৈয়ব আলী মেম্বার পাড়ার একটি মুদি দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ২ জুলাই রোববার দিবাগত রাত আনুমানিক পৌনে তিনটার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। দোকানের মালিক ময়নাল হোসেন জানান, প্রতিদিনের মতো আমি গতকাল রাত প্রায় ১২.০০টার সময় আমার দোকানটি বন্ধ করে বাড়িতে চলে যাই। রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে আমার কাছে খবর আসে যে, আমার দোকানটিতে আগুন লেগেছে। সাথে সাথেই আমি সেখানে যাই এবং দেখতে পাই আমার দোকানটিতে আগুন এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে দোকান থেকে কোনো মালামাল বের করার আর সুযোগ নাই। দোকানটির আশেপাশে পানির তেমন ব্যবস্থাও ছিল না যে, পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করব। সাথে সাথে মাটিরাঙ্গা উপজেলা সদরে ফায়ার সার্ভিসে ফোন দেই। মাটিরাঙ্গা থেকে ফায়ার সার্ভিস রওয়ানা দিয়ে দুর্ঘটনাস্থলে আসতে প্রায় চল্লিশ মিনিটের মত সময় লেগে যায়। যার ফলে চোখের সামনেই দোকান ঘরটিসহ সকল মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তিনি আরো জানান, পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে ঈদের আগে দোকানে প্রায় অনেক টাকার মালামাল তুলেছিলাম। এতে আমার দোকান ঘর, যাবতীয় মুদি মালামাল, কোমল পানিয় ও দুটি ফ্রিজসহ প্রায় সাত লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। আমার উপার্জনের আর কোনো খাত নাই। আমার কাছে জমানো কোনো অর্থ নাই। আমার দোকানটি পুড়ে যাওয়াতে এখন আমার উপার্জনের রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। আমি এখন অসহায় হয়ে পড়েছি । দুর্ঘটনাস্থলে উপস্থিত গোমতি উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য মো: জাকির হোসেন জানান, দোকানটি মালামালে ঠাসা ছিল। আমার বাড়ির পাশের দোকান এটি। সব ধরনের মালামালই পাওয়া যেতো। আগুনে দোকানটি পুড়ে যাওয়ায় শুধুমাত্র দোকান মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, এলাকাবাসীও বড় মাপের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেকোনো প্রয়োজনে মানুষ বাজারে না গিয়ে এ দোকান থেকেই সবকিছু কেনাকাটা করতে পারতো। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ কাজী জাফর জানান, ঘটনা শুনে রাতেই আমি এখানে আসি। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন এবং মেয়র সামশুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আমরা উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন এবং আমাদের অভিভাবক কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এম পি’ র সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার চেষ্টা করবো।
আপনার মতামত লিখুন :