প্রতিনিধি : খাগড়াছড়িতে চেক ডিসঅনার মামলায় সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কমল জ্যেতি চাকমাকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে যুগ্ম জেলা জজ মোঃ মাহমুদুল ইসলাম এর আদালত এ রায় দেন। মামলার বাদী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কীর্তি ভূষণ ত্রিপুরা বলেন, “আমার কাছে ৪ বছর আগে ১৩ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন কমল জ্যেতি চাকমা । গত বছর টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দিলে তিনি একটি চেক দেন। কিন্তু ব্যাংকে উক্ত চেক জমা দিলে একাউন্টে টাকা না থাকায় ব্যাংক চেক ফেরত দেন আমাকে। পরবর্তীতে আমি আদালতের দ্বারস্থ হই। আজ এই রায়ে আমি খুশি। আমি চাই এই রায় যত দ্রুত সম্ভব কার্যকরের মাধ্যমে আমার টাকা উদ্ধার হউক।” জানা যায়, আরো এক ব্যক্তির ৫ লক্ষ টাকার একটি মামলায় রায় হয়েছে এবং রুবেল ত্রিপুরার ৩ লক্ষ ৫০ হাজার ও কবি রঞ্জন ত্রিপুরার ৫ লক্ষ টাকার আলাদা আলাদা মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়াও আওয়ামী লীগ নেতা রনজিত দে ১৩ লক্ষ টাকাসহ আরো বহু লোক শিক্ষা অফিসার কমল জ্যেতি চাকমার নিকট টাকা পাওনা রয়েছেন। উল্লেখ্য, সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কমল জ্যেতি চাকমা এই অর্থ লেনদেনের সময় খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলায় কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে রাঙামাটি সদর উপজেলায় কর্মরত আছেন।
আপনার মতামত লিখুন :