রোববার সকালে খাগড়াছি সরকারি কলেজ মাঠ থেকে শুরু হয়ে এই শোভাযাত্রা শেষ হয় আপার পেরাছড়ায়। আয়োজনে নেতৃত্ব দেয় মারমা ঐক্য পরিষদ। ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও গয়নায় সজ্জিত হয়ে নৃত্য ও সংগীতের মাধ্যমে শোভাযাত্রায় অংশ নেয় মারমা তরুণ-তরুণীরা।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ির সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়া। তিনি বলেন, “এ ধরনের উৎসব আমাদের সামাজিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে এবং পাহাড়ি-বাঙালি সবার মধ্যে সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেয়।”
শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া পৈজিতা মারমা বলেন, “সারা বছর অপেক্ষা করি এই দিনের জন্য। আজ এখানে অংশ নিতে পেরে দারুণ লাগছে।”
অন্য একজন অংশগ্রহণকারী এলিচিং মারমা জানান, “আগামীকাল মূল সাংগ্রাই উৎসব। আজকের শোভাযাত্রা সেই প্রস্তুতির অংশ। আমরা ঐতিহ্যবাহী পোশাকে ‘পরী’ সেজে এই আয়োজনে অংশ নিয়েছি।”
জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, “পার্বত্য জেলাগুলোর প্রতিটি উৎসব আমাদের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করে। বিজু, বৈসু ও সাংগ্রাই উৎসবগুলোতে সকল জাতিগোষ্ঠী মিলেমিশে অংশ নিচ্ছে, যা একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে সহায়ক হবে।”
মারমা ঐক্য পরিষদের ম্রাসাথোয়াই মারমা বলেন, “আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় এই ধরনের উৎসব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগামী ১৮ এপ্রিল ‘মৈত্রী জল বর্ষণ’ বা পানি খেলায় উৎসবের পরবর্তী আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে।”
আপনার মতামত লিখুন :