আবদুল আলী : খাগড়াছড়ি জেলার নবম উপজেলা গুইমারা, যা ২০১৪ সালে তিনটি ইউনিয়ন ও প্রায় ৮০ হাজার মানুষের সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার নয় বছর পার হলেও এখনো উপজেলাটির জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মিত হয়নি।
উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম বর্তমানে গুইমারা ইউনিয়ন পরিষদের ভবনে সীমিত পরিসরে পরিচালিত হচ্ছে। এখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের জন্য অস্থায়ী কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের কার্যক্রম এখনও ভাড়াবাড়িতে চলছে বা সীমিত পরিসরে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
অফিসের অভাবের কারণে স্থানীয়রা সঠিকভাবে জানেন না, কোন সেবা কোথা থেকে পাওয়া যাবে। অনেক কর্মকর্তা তাদের কার্যক্রম ইউএনও অফিসে বা একাধিক কর্মকর্তা একটি কক্ষে বসে চালাচ্ছেন। এমনকি উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের জন্য আলাদা অফিসও নেই।
গুইমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এখনো নির্মাণ হয়নি। ফলে চিকিৎসার জন্য স্থানীয়দের পার্শ্ববর্তী উপজেলা মাটিরাঙা, রামগড়, ও মহালছড়িতে যেতে হয়। বিশেষ করে প্রসূতি মায়েদের গভীর রাতে স্বাস্থ্যসেবা পেতে ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তর, উপজেলা মৎস্য দপ্তর, ও নির্বাচন কমিশনের অফিসগুলো বিভিন্ন ভাড়া করা ভবনে কার্যক্রম চালাচ্ছে। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস এবং আনসার ও ভিডিপি অফিস বিচ্ছিন্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আইরিন আকতার জানিয়েছেন, প্রশাসনিক ভবনের নির্মাণ কাজ প্রায় ৮০% সম্পন্ন হয়েছে। দ্রুত এর উদ্বোধনের আশা করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘ ৯ বছরে গুইমারায় উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নয়ন হয়নি। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাও সেবা দিতে সক্ষম হননি অফিসের অভাবে।
২০১৪ সালের ২ জুন প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গুইমারা উপজেলাটি গঠিত হয়। গেজেট প্রকাশের পর একই বছরের ৩০ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদের ভবনে এর প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়।
আপনার মতামত লিখুন :