admin প্রকাশের সময় : অক্টোবর ১৫, ২০২৪, ১০:২৮ অপরাহ্ন /

মানিকছড়িতে এইচএসসির ফলাফল বিপর্যয়-৬৭০ জনে পাশ করেছে ৩১৭ জন
মানিকছড়ি সংবাদদাতা:- উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে। প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি গিরি মৈত্রী সরকারি ডিগ্রি কলেজ থেকে এবার ৬৭০ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে মাত্র ৩১৭ জন! আর ফেল করেছেন ৩৫৩জন। পাশের হার ৪৭.৩১% শতাংশ। যা গত বছর ছিল ৫১% শতাংশের বেশি। আর এ বছর পাশ করা ৩১৭ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাত্র ১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। ফলাফলের এমন বিপর্যয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগীরা। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন মহল থেকে সুপারিশের মাধ্যমে মূল্যায়ন পরীক্ষায় ফেল করা শিক্ষার্থীদের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়াকেই দায়ী করছেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এস এম শাহ-ই-আলমসহ অধিকাংশ প্রভাষক।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় ৬৭৮ জন রেজিস্ট্রেশন করলেও মূল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৬৭০ জন শিক্ষার্থী। আর পাশ করেছে ৩১৭ জন। যার মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৭১ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৬৯ জন, ব্যবসা শাখা থেকে ১৬২ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৯৮ জন এবং মানবিক বিভাগ থেকে সর্বোচ্চ ৪৫৩ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে মাত্র ১৫০ জন। পাশ করা ৩১৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞান থেকে হাসপ্রিয়া আক্তার হাসনা নামের এক শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। সে গত ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া এসএসসি পরীক্ষাতেও জিপিএ-৫ পেয়েছে।

সুপারিশকে ফলাফলের অন্যতম কারণ হিসেবে দায়ী করে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এসএম শাহ-ই-আলম জানান, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দদের সুপারিশে মূল্যায়ন পরীক্ষায় কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের বাইরেও বহু শিক্ষার্থীকে রেজিস্ট্রেশন করাতে হয়েছে। যার মধ্যে অনেকেই নিয়মিত কলেজে আসত না। পড়া লেখায়ও ছিল অমনোযোগী। সুপারিশকৃত অধিকাংশ শিক্ষার্থীই এবারের প্রাপ্ত ফলাফলে ফেল করেছে। যার ফলে এবারের ফলাফল কিছুটা খারাপ হয়েছে। তবে আগামীতে যারা টেস্ট পরীক্ষায় (মূল্যায়ন) পাশ করবে না, তাদের রেজিস্ট্র্রেশন করতে দেওয়া হবে না।

কলেজের ফলাফলে হতাশা প্রকাশ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা আফরোজ ভ্ইূঁয়া জানান, আমি সবেমাত্র অত্র উপজেলায় যোগদান করেছি। আর যোগদানের পর থেকে পিছিয়ে পড়া শিক্ষাঙ্গণকে এগিয়ে নিতে কাজ শুরু করেছি। তবে আগামীতে যেন কলেজের ফলাফল বিপর্যয় না ঘটে এবং শিক্ষার মান বৃদ্ধি পায় সে লক্ষ্যে এক সপ্তাহের মধ্যে বসে সিদ্ধান্ত নেয়া।