মো : সোহেল রানা : দিঘীনালায় সংঘাত ভুলে শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখার আহবান জানিয়েছে প্রশাসন। ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল সাড়ে এগারোটায় খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল ও দীঘিনালা সেনা জোনের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. ওমর ফারুক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সকল সম্প্রদায়ের প্রতি শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখার আহবান জানান।
খাগড়াছড়ি সদর শালবনের মামুন হত্যার প্রতিবাদে ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে দীঘিনালা উপজেলায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে পাহাড়ী-বাঙ্গালী উভয় পক্ষে সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হলে লারমা স্কয়ার সংলগ্ন বাস স্টেশন বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় দীঘিনালা উপজেলার লারমা স্কয়ার সংলগ্ন ১শত ২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে যায় এবং ১ জন নিহত ও ১৬ জন আহতের খবর পাওয়া যায়।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, শান্তি-সম্প্রীতি রক্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী, দোকান মালিক, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে একটি শান্তি স্থাপন কমিটি করার আহ্বান জানানো হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। দীঘিনালার যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা ও শান্তি সম্প্রীতি রক্ষায় জাতি-ধর্ম ভেদাভেদ ভুলে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে আহবান জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গুজবের বিষয়েও সতর্ক থাকতে বলা হয়।
এ বিষয়ে দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দীঘিনালার চলমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্তি স্থাপনের বিষয়ে সকল শ্রেণী-পেশা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশীদ, অফিসার ইনচার্জ মো. নুরুল হক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছা. লুতফর নাহার শারমিন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জয়নাল আবেদীন, যুগ্ম সম্পাদক কাজী রানা, বাজার চৌধুরী জেসমিন চাকমা, ইউপি চেয়ারম্যান চয়ন বিকাশ চাকমা, নলেজ চাকমা, গগন বিকাশ চাকমা, চন্দ্র রঞ্জন চাকমাসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও দোকান মালিকদের তালিকা করে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আপনার মতামত লিখুন :