ঘুষ না পাওয়ায় সরকারী কর্মকর্তারা কাজে অনীহা দেখাচ্ছে . . . . সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ


admin প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৪, ৯:০৬ অপরাহ্ন /
ঘুষ না পাওয়ায় সরকারী কর্মকর্তারা কাজে অনীহা দেখাচ্ছে . . . . সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ

চাইথোয়াই মারমা : শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর নতুন এক বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়েছে’। পালিয়ে গেছে অনেক সরকারি দপ্তরের প্রধানরাও। আজকের এই পরিবর্তিত বাংলাদেশে এখন আর কাউকে ঘুষ দিতে হয় না। তবে অনেক ঘুষখোর কর্মকর্তা এখন কাজে অনীহা দেখাচ্ছে। ঘুষ খেতে না পারায় কাজ স্লো করে দিয়েছে। ৯ই সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেলে খাগড়াছড়ি টাউন হলে ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরও বলেন, ভূমি অফিস, পাসপোর্ট অফিস, বিআরটিএ ও বিদ্যুৎ অফিসসহ প্রায় প্রতিটি সরকারি অফিসে বিগত ১৬বছর ধরে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। অনিয়ম হয়েছে। ঘুষ ছাড়া কোন সেবা পায়নি সাধারণ নাগরিকেরা। কত বেতন-ভাতা দেওয়া হবে, তা জেনে বুঝেই সরকারি চাকরিতে যোগদান করেছেন কর্মকর্তারা। যদি এখনও ঘুষ খাওয়ার আশা মনে পোষণ করে থাকেন তবে চাকরি ছেড়ে চলে যান।’
বর্তমান সরকার প্রসঙ্গে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি এই সরকারের মেয়াদে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠিত হবে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসহ সকল খাতে দুর্নীতি সমূলে উৎপাটন করা হবে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এমন করা হবে, যেখানে রাষ্ট্রপতি চিকিৎসা নিবেন সেখানে একজন দিনমজুর, একজন তাঁতী কিংবা একজন রিক্সাওয়ালাও চিকিৎসা নিতে পারবেন। আমরা বিশ্বাস করি অন্তরবর্তীকালীন এই সরকারের মেয়াদে শিক্ষা ব্যবস্থায় একজন মন্ত্রীর ছেলে যেখানে পড়ালেখার সুযোগ পাবে, সেখানে একজন সাধারণ মানুষের সন্তানও পড়ালেখার সুযোগ পাবে। কোনক্ষেত্রেই কোন দুর্নীতি থাকবে না, বৈষম্য থাকবে না।’
গত ১৬ বছরে ১১ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। সময় এসেছে বৈষম্য দূর করার। পাহাড়ে বসবাসরত সকল সম্প্রদায়ের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’
গণঅভ্যুত্থানের প্রেরণায় শহীদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ এবং দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এই ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি, খাগড়াছড়ির বাসিন্দা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সম্মুখসারির ছাত্রনেতা রফিকুল ইসলামসহ জেলার সমন্বয়ক, সংবাদকর্মী এবং সাধারণ নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্টান শুরু হওয়ার আগে বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে হট্টগোল দেখা দিলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। পরে পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে।