মো: সোহেল রানা
মাছ চাষে ভাগ্য বদল এর স্বপ্ন নিয়ে খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের ভূইয়াছড়া মো: লোকমান হোসেনকে মৎস্য অধিদপ্তরাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প রাঙ্গামাটি এর আওতায় দীঘিনালা উপজেলা মৎস্য দপ্তরের মাধ্যমে ক্রীক বাঁধ জলাশয়ে মৎস্য চাষের জন্য উপকরন প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার(২৪জুন) সকাল ১১টায় দীঘিনালা মৎস্য দপ্তরের আয়োজনে মেরুং ভূইয়াছড়া মো: লোকমান হোসেন এর ক্রীক বাঁধ জলাশয়ে গিয়ে মৎস্য উপকরন প্রদান করেন দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ নারী ভাইস চেয়ারম্যান মিজ সীমা দেওয়া, উপজেলা মৎস্য কর্তকর্তা অর্বনা চাকমা ও সাংবাদিক মো: সোহেল রানা।
উপকরন পেয়ে মো: লোকমান হোসেন বলেন, আমি ২০১৮সাল থেকে মাছ চাষ শুরু করি। দীঘিনালা উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে দুই বার মাছ চাষের উপর প্রশিক্ষন নিয়েছি। আমাকে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প রাঙ্গামাটি মাধ্যমে ২০২৩-২৪অর্থ বছরের একটি ক্রীক বাঁধ দিয়ে দেয়। আমার জলাশয়ের পরিমান ০.৪৮হেক্টর। আমি এখন বিভিন্ন প্রকার কার্প জাতীয় মাছ চাষ করছি এবং রেনু চাষ করে মাছের পোনাও বিক্রয় করছি। মাছ চাষ করে এখন আমি অনেক লাভবান। সংসার চালতে কষ্ট হচ্ছে না। আমার পুকুরের এখন ২/৩জন কাজ করে। আমি তামাক চাষ করতাম এখন থেকে তামাক চাষ ছেড়ে দিব।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অর্বনা চাকমা বলেন, মৎস্য অধিদপ্তরাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প রাঙ্গামাটি এর ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের আওতায় দীঘিনালা উপজেলা মৎস্য দপ্তরের মাধ্যমে মো: লোকমান হোসেনকে ক্রীক বাঁধের মাধ্যমে (০.৪৮ হেক্টর)জলাশয় মৎস্য চাষ করার জন্য তৈরি করে দেয়া হয়। উক্ত জলাশয়ে মৎস্য চাষের প্রদর্শনী খামার স্থাপনের জন্য মৎস্য উপকরন হিসেবে সার, মাছের পোনা, মাছের খাদ্য, চুন, ঝাকি জাল, প্লাটিকের ড্রাম,মগ, বালতি প্রদান করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :