(ধরাবাহিক প্রতিবেদনের প্রথম পর্ব)
সবুজ পাতার ডেস্ক : দিঘীনাল মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কৌশলী রাজিব নন্দী আয় কর ফাঁকি দিতে খাগড়াছড়ির অন্যতম সমাজ সেবক ও বিশিষ্ট ঠিকাদার এস অনন্ত ত্রিপুরা’র লাইসেন্স ব্যবহার করে মসজিদ নির্মাণ কাজের ঠিকাদারী বাগিয়ে নিয়েছেন। ঠিকাদার যে পরিমাণ প্রাথমিক বিল উত্তোলন করেছেন তার অর্ধেক কাজও এখনো হয়নি বলে জানা যায়।
ঢালাইয়ের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা সিমেন্ট কম এবং অত্যধিক অনিয়মে জড়িত হতে অস্বীকার করায় শ্রমিকদেরকে মারধরও করা হয়। পরবর্তীতে শ্রমিকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে ৮ হাজার টাকা জরিমানাও প্রদান করে রাজিব নন্দীর লোকজন।
অনিয়মের মধ্যে যেমন:- কিছু পিলারের হাইট কম, ঢালাইয়ে থিকনেস কম, সিমেন্ট ও রড ননব্রান্ডের, সি-সিক্স লেভেল কম-বেশি আছে বলে সূত্র জানায়। ভবন নির্মাণে অনিয়ম, দূর্নীতি বা তাড়াহুড়ার কারনে যদি এক পাশে কিছু পিলারের হাইট কম থাকে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে ভবনটি একপাশে ধেবে যাওয়া বা ভেঙ্গে জানমালের ক্ষতির সম্ভাবনা আছে বলে প্রকৌশলীদের অভিমত।
দিঘীনালা মডেল মসজিদ নির্মাণ বিষয়ে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করলেও খাগড়াছড়ি গণপুর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তথ্য প্রদানে গড়িমসি করছেন। মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও তিনি কল বিসিভ করছেন না।
‘‘দিঘীনালা মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজের ডিজাইন, স্টিমিট, আর্থিক অগ্রগতি ও ভৌত অগ্রগতির বিবরন। কাজ শুরুর তারিখ ও ঠিকাদারকে প্রদেয় প্রাথমিক বিল পরিশোধের তারিখ এবং পরিমাণ ? কাজ শুরু ও সমাপ্তির তারিখ, ঠিকাদার কর্তৃক সর্বশেষ উত্তোলিত অর্থের পরিমাণ ও তারিখ, কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদার/প্রতিষ্ঠানের নাম ঠিকান ‘’। এ সকল তথ্য প্রদানের জন্য খাগড়াছড়ি গণপুর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে অনুরোধ করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেলে ধারা বাহিক প্রতিবেদনের দ্বিতীয় পর্ব প্রকাশিত হবে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ‘‘দিঘীনালা মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজের অনিয়মের বিষয়টি সুচারুভাবে তদন্ত করবেন বলে প্রত্যাশা করছেন সচেতন মহল।
আপনার মতামত লিখুন :