মোহাম্মদ ইউনুছ নাইক্ষ্যংছড়ি: পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে এখনো দেখা যায় ধান পাহারায় রাত জাগানো বিরল টং। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নের মধ্যে বেশির ভাগ গ্রাম পাহাড়ি। এই উপজেলায় পাহাড়ি ফলফলাদির পাশাপাশি কৃষকের প্রধান কৃষি হচ্ছে মৌসুমি ধান চাষ। পাহাড়ের বেষ্টনীতে ঘেরা নাইক্ষ্যংছড়িতে পরিসংখ্যানে দেখা যায় সমতলের ছেয়ে পাহাড়-ই বেশি। কিন্তু পাহাড়ে ক্ষুদে কৃষকরা মৌসুমী ফসল উৎপাদনে তাদের বুদ্ধি মত্তাকে কাজে লাগিয়ে, পাহাড়ি ঝিরি (ঘোনা) গুলোতে লাভের আশায় ধান চাষের আওতায় এনে হাজার হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ করছে। অপর দিকে পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় বিপাকে পড়েন কৃষকরা, কারন এসব জমির আশপাশে পাহাড়ে বসবাস করে হাতি,শুকরসহ বিভিন্ন বন্য প্রাণী। তারাও সুযোগ বুঝে হানা দেয় কৃষকের ফসলে। তাই তাদের ফসল রক্ষায় কৃষকরাও অভিনব কৌশল অবলম্বন করে উঁচু গাছে টং বেঁধে পাহারা বসায়। এমন দৃশ্য গুলো চুখে পড়ে নাইক্ষ্যংছড়ির সদর ইউনিয়নের জাংছড়ি, জারুলিয়াছড়ি, ফুলতলী, বামহাতিরছড়া, বাইশারীর কাগজিকোলা, ক্যাগাংবিল, দোছড়ি এবং সোনাইছড়ি ইউনিয়নে। ক্যাগাংবিলের কৃষক মুসলিম, জাকের জানান, জীবনের তাগিদে বর্গা জমি নিয়ে আমরা পাহাড়ের ঝিরিতে চাষাবাদ করি। কিন্তু ফসল ঘরে তুলার আগেই বন্য প্রাণী আমাদের ফসল ক্ষতি করে, তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ি উঁচু গাছে টং বেঁধে পাহারা বসাই। এতে অনেক সময় আমাদেরকেও আক্রমণ করে বন্য প্রাণী। ফুলতলী ৯ নং ওয়ার্ড এর মেম্বার শামসুল আলম জানান, আমাদের গ্রামটাই পাহাড়, তাই পাহাড়ি ঝিরিতেই আমাদের কৃষকরা বার মাসের ফসল ফলায়। বিগত বৎসর গুলোতে টং ঘরে ধান পাহারা দিতে গিয়ে অনেক কৃষককের প্রাণ হানির ঘটনা ঘটেছে।
আপনার মতামত লিখুন :