স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স না থাকায় সেবা বঞ্চিত গুইমারা উপজেলার ৮০ হাজার মানুষ


admin প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২১, ২০২৫, ৩:৫৪ অপরাহ্ন /
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স না  থাকায় সেবা বঞ্চিত গুইমারা উপজেলার ৮০ হাজার মানুষ

দ্রুত হাসপাতাল নির্মাণের  আহ্বান গুইমারা বাসীর

মোঃ আবদুল আলী : খাগড়াছড়ির নবম উপজেলা গুইমারায় প্রতিষ্ঠার এক দশক পরও নির্মাণ হয়নি সরকারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ফলে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছে উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের প্রায় ৮০ হাজার মানুষ।

উপযুক্ত সরকারি হাসপাতাল তো নেই-ই, তদুপরি গড়ে ওঠেনি কোনো আধুনিক বেসরকারি ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারও। বাধ্য হয়ে সাধারণ মানুষ ভরসা রাখছে গ্রাম্য হাতুড়ে চিকিৎসকের ওপর, যার ফলে রোগ নির্ণয় ও সঠিক চিকিৎসা থেকে অনেকেই বঞ্চিত হচ্ছেন।

সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দুর্গম পাহাড়ি এলাকার গর্ভবতী নারীদের। নিজ উপজেলায় স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় বেশিরভাগ সময় প্রসবজনিত চিকিৎসার জন্য যেতে হচ্ছে পার্শ্ববর্তী মানিকছড়ি বা মাটিরাঙ্গা উপজেলা কিংবা খাগড়াছড়ি জেলা সদর অথবা ১০০ কিলোমিটার দূরের চট্টগ্রাম শহরে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও সাইংগুলিপাড়ার মৌজা প্রধান চাইথোয়াই চৌধুরী জানান, “গহীন পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষ আধুনিক চিকিৎসা সেবা থেকে একেবারেই বঞ্চিত। হাতুড়ে ডাক্তার ও কবিরাজের ওপর নির্ভর করতে হয়।” একইভাবে গুইমারা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা খোরশেদ আলম বলেন, “হাসপাতাল না থাকায় আমরা আজও প্রাচীন যুগে বাস করছি। রোগ নির্ণয়ের জন্যও দূর-দূরান্তে যেতে হয়।”

২নং হাফছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অংগ্যজাই মারমা জানান, “উপজেলা প্রতিষ্ঠার ১০ বছর পরেও স্বাস্থ্য খাতে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। বিশেষ করে দুর্গম সিন্ধুকছড়ি ইউনিয়নের সুবিধার্থে একটি কেন্দ্রীয় স্থানে দ্রুত হাসপাতাল নির্মাণ প্রয়োজন।”

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৬ জুন নিকার সভায় গুইমারাকে উপজেলা হিসেবে অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও স্বাস্থ্য অবকাঠামো গড়ে ওঠেনি।

এ বিষয়ে খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. মো. ছাবের জানান, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, অনুমোদনের অপেক্ষায় নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হয়নি, তবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

অবিলম্বে গুইমারায় একটি আধুনিক ও মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা এবং সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।