সেনাবাহিনীর দ্রুত তৎপরতায় মাইনি বাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে


admin প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫, ১১:৪৭ অপরাহ্ন /
সেনাবাহিনীর দ্রুত তৎপরতায় মাইনি বাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে

লংগদু প্রতিনিধিঃ

রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার মাইনি বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সেনাবাহিনীর দ্রুত ও সাহসী পদক্ষেপে একটি বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর আনুমানিক ২টা ৪৫ মিনিটে লঞ্চঘাট সংলগ্ন হোটেল নিসার রান্নাঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পার্শ্ববর্তী দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর লংগদু জোনের (তেজস্বী বীর) জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর মোর্শেদ, এসপিপি, পিএসসি-এর নির্দেশনায় ভারপ্রাপ্ত টু-আইসি মেজর রিফাত উদ্দিন লিয়নের নেতৃত্বে অফিসার, এফএস জেসিওসহ প্রায় ৫০ জন সেনাসদস্যের একটি উদ্ধার দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।

অল্প সময়ের মধ্যে লংগদু ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট, আনসার ব্যাটালিয়নের একটি উদ্ধার দল এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরাও সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয়। প্রায় দেড় ঘণ্টার প্রচেষ্টার পর বিকাল ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।

অগ্নিকাণ্ডে চায়ের দোকান, হোস্টেল, মুদি দোকান, দুই তলা গুদামঘর, ভাঙারির দোকান এবং একটি বসতবাড়িসহ প্রায় ১২ থেকে ১৫টি দোকান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। এতে আনুমানিক ২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর মোর্শেদ বলেন, “লংগদু জোন সর্বদা জনগণের পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও যেকোনো দুর্যোগকালীন মুহূর্তে জনগণের নিরাপত্তা ও কল্যাণে কাজ করে যাবে।”

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ সেনাবাহিনীর দ্রুত সাড়া এবং অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তারা জানান, সেনাসদস্যরা আগুন নেভানোর কাজে যে সাহস ও নিষ্ঠা দেখিয়েছেন তা সত্যিই অনুকরণীয়। অনেকেই বলেন, সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে না এগিয়ে এলে ক্ষতির পরিমাণ আরও ভয়াবহ হতে পারত।

এই অগ্নিকাণ্ড আবারও প্রমাণ করেছে যে, দেশের সংকটময় সময়ে সেনাবাহিনী কেবল নিরাপত্তা নয়, মানুষের কল্যাণ ও জীবিকার সুরক্ষায়ও অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে।