আরিফুল ইসলাম মহিন : খাগড়াছড়িতে শীত নামার সঙ্গে সঙ্গে পিঠা বিক্রির ধুম লেগেছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকানগুলোতে জমজমাট ক্রেতার ভিড় দেখা যায়। তিনটি চুলায় চিতই পিঠা, তেলের পিঠা, ভাপা পিঠা, এবং সিদ্ধ ডিম তৈরি করে বিক্রি করছেন দোকানিরা। গরম ধোঁয়া ওঠা পিঠা চুলা থেকে নামতেই ক্রেতাদের হাতে পৌঁছাচ্ছে। কেউ সেখানেই বসে খাচ্ছেন, কেউ প্যাকেট করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন।
পৌষের সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি শহরের বাজার এলাকার মোস্তফার চিতই পিঠার দোকানে এমনই ব্যস্ত চিত্র দেখা যায়। মোস্তফার মতো অর্ধশতাধিক ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান শহরের আনাচকানাচে প্রতিদিন জমে ওঠে। সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এসব দোকানে পিঠা বিক্রি হয়।
দোকানি মোস্তফা জানান, তিনি ১৫ বছর ধরে শীত মৌসুমে পিঠা বিক্রি করে আসছেন। প্রতিদিন ২০-২৫ কেজি চালের পিঠা বিক্রি করেন তিনি। খরচ বাদে প্রতিদিন ১,১০০ থেকে ১,২০০ টাকা লাভ থাকে তাঁর।
শহরের বিভিন্ন এলাকায়, যেমন খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক, মধুপুর, ভাঙ্গা ব্রিজ, বটতলী, মোল্লাপাড়া, এবং চেঙ্গী স্কোয়ারে পিঠার দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় লেগেই থাকে। চিতই পিঠা ১০ টাকায়, ডিম চিতই ২৫ টাকায়, এবং ভাপা পিঠা ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিতই পিঠার সঙ্গে ধনেপাতা, মরিচবাটা, এবং শুঁটকির ভর্তা বিনা মূল্যে দেওয়া হয়।
বাজার এলাকার আরেক পিঠা বিক্রেতা মাসুদুর রহমান জানান, প্রতিদিন ১০-১২ কেজি চালের চিতই পিঠা বিক্রি করেন তিনি। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পিঠার চাহিদাও বাড়ছে। অনেকেই দুধ চিতই খেতে আসছেন এবং অর্ডার দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
পিঠার ক্রেতারা জানান, শীতের পিঠা না খেলে শীত যেন অপূর্ণ থাকে। বাড়িতে পিঠা তৈরির ঝামেলা এড়াতে তারা এসব ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকেই পিঠা কিনে নেন। শীতের পিঠার স্বাদ নিতে এমন দোকানগুলোই তাদের প্রধান ভরসা।
আপনার মতামত লিখুন :