মানিকছড়িতে হিন্দু উন্নয়ন সংসদের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন


admin প্রকাশের সময় : অক্টোবর ৪, ২০২৪, ৫:২০ অপরাহ্ন /
মানিকছড়িতে হিন্দু উন্নয়ন সংসদের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন

মানিকছড়ি  প্রতিনিধি:-খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে পার্বত্য হিন্দু উন্নয়ন সংসদ’র উপজেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বাবুল দেওয়ানজীকে সভাপতি, সঞ্জয় দেব নাথকে সাধারণ সম্পাদক, লিটন কান্তি নাথকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পলাশ কান্তি দে’কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট  কমিটির আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

৪ অক্টোবর শুক্রবার  সকালে উপজেলা টাউন হলের সামনে থেকে পার্বত্য হিন্দু উন্নয়ন সংসদ, সনাতন সমাজ কল্যাণ পরিষদ ও পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়ে উপজেলার আমতল হয়ে বাজার প্রদক্ষিণ শেষে টাউন হলে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।

সনাতন নেতা দ্বীপন কর্মকার ও সঞ্জয় দেব নাথ’র যৌথ সঞ্চালনায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহ-সভাপতি বাবুল দেওয়ানজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট’র আহবায়ক ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি প্রবীণ চন্দ্র চাকমা। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. এনামুল হক এনাম, সাধারণ সম্পাদক মো. মীর হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আবুল কাশেম, সনাতন সমাজ কল্যাণ পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলার শাখার আহবায়ক প্রকৌশলী নির্মল দাশ, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির আহবায়ক সভাপতি অশোক মজুমদার, পার্বত্য হিন্দু উন্নয় সংসদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক দোলন দাশ, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি উজ্জ্বল দে, ভারপ্রাপ্ত মানিকছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন, মানিকছড়ি শ্রী শ্রী রাজশ্যামা কেন্দ্রীয় কালী মন্দির পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি বাদল বরণ সেন ও সাধারণ সম্পাদক তুষার পাল।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ‘পাহাড়ে বসবাসরত হিন্দু সম্প্রদায়ের আর্থসামাজিক উন্নয়নে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে পার্বত্য হিন্দু উন্নয়ন সংসদ। বিগত আ.লীগ শাসনামলে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন ও মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে উল্লেখ করে আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে সকল সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে এবং আসন্ন সার্বজনীন শারদীয় দুর্গাৎসব নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে উদযাপন করার লক্ষে সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছি এবং পাহাড়ে সকল সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে একত্রে বসবাস করবে এ  প্রত্যাশা আমাদের সকলের।