প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলায় বোরো ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি কমে গেলে বোরো আবাদ শুরু হয়। প্রতি বছর জুন-জুলাই মাসে হ্রদের পানি বাড়লেও ডিসেম্বরের দিকে পানি কমে যায়, আর তখনই কৃষকরা জমি প্রস্তুত করে বোরো ধানের চারা রোপণ করেন।
শ্রমিক সংকট ও খরচ বৃদ্ধি
সরেজমিনে দেখা যায়, মহালছড়ি সদর, ছৌংড়াছড়ি মুখ, মহাজনপাড়া, মুবাছড়ি ইউনিয়নের ব্রীজপাড়া, মোহাম্মদপাড়া, মনাটক, খুল্যাংপাড়া, বাঘমারা, হ্যোয়্যাংছাপাড়া প্রভৃতি এলাকায় বোরো আবাদ শুরু হয়েছে। তবে সময়মতো দিনমজুর (কামলা) না পাওয়ায় কৃষকরা চিন্তিত। ইউপি সদস্য চকি চাকমা জানান, এ বছর দিনমজুরের মজুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। পুরুষ শ্রমিকদের দিনে ৬০০ টাকা এবং মহিলা শ্রমিকদের ৪০০ টাকা দিতে হচ্ছে।
একজন দিনমজুর মিনি চাকমা বলেন, “আমাদের গ্রুপে ১৩ জন সদস্য রয়েছে। আমরা জমি চাষের পাশাপাশি বর্গাচাষ হিসেবে প্রতি বর্গায় ৩,৫০০ টাকার বিনিময়ে ধান রোপণ করি।”
উৎপাদনের ওপর নির্ভরতা
মনাটক গ্রামের কৃষক অটুল চাকমা বলেন, “এ বছর আমি ৬ বর্গা জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ করছি। এই ধান থেকেই আমাদের পরিবারের সারা বছরের খাদ্য চাহিদা মেটানো হয়। সঠিক সময়ে ফসল ঘরে তুলতে পারলে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচসহ অন্যান্য চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।”
লক্ষ্যমাত্রা ও পরামর্শ
মহালছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নুর মোহাম্মদ রসুল জানান, চলতি মৌসুমে ১৩৩০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯৫০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড এবং ৩৮০ হেক্টরে উফশী জাতের ধান চাষ হচ্ছে। তিনি বলেন, “১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে চারা রোপণের সঠিক সময়। ৩০ থেকে ৪০ দিনের চারার উপযুক্ত বয়স হলে সর্বোচ্চ ফলন পাওয়া সম্ভব।”
আপনার মতামত লিখুন :