বন্যায় দীঘিনালা-সাজেক-লংগদু সড়ক যোগাযোগ বন্ধ


admin প্রকাশের সময় : আগস্ট ২১, ২০২৪, ৯:৪০ পূর্বাহ্ন /
বন্যায় দীঘিনালা-সাজেক-লংগদু সড়ক যোগাযোগ বন্ধ

মো. সোহেল : টানা ৪দিনের বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় ৪র্থ বার খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এতে শতশত পরিবার নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
দীঘিনালা-লংগদু মূল সড়ক প্লাবিত হয়ে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে মেরুং ইউনিয়নের ছোবাহানপুর, চিটাগাংপাড়া, ১নং কলোনি, ৩নং কলোনি এলাকার নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। দীঘিনালা সাজেক মূল সড়কের কবাখালী এলাকা পানিতে প্লাবিত হওয়ায় সাজেকের সাথে দীঘিনালার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ২১টি আশ্রয় কেন্দ্রে শত শত পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়াও হাজার হাজার পরিবার পানি বন্দি অবস্থায় আছে।
দীঘিনালা-সাজেক মুল সড়কে কবাখালী এলাকার পাঁকা রাস্তায় পানিতে তলিয়ে যাওয়া সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও উপজেলার, কবাখালী, বোয়ালখালী ও মেরুং ও বাবুছড়া ইউনিয়নের ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলো ভারি বর্ষণে প্লাবিত। বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে বাড়তে পারে জন দুর্ভোগ। ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বসবাসরত মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে আসার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আহবান করা হয়েছে।
মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক খোলা হয়েছে জরুরি সেবাকেন্দ্র এবং মেরুং, কবাখালি, বোয়ালখালী, বাবুছড়াসহ চারটি ইউপিতে খোলা হয়েছে ২১ টি আশ্রয় কেন্দ্র। এলাকাগুলোতে মাইকিং করা হয়েছে, ঝুঁকিপূর্ন এলাকার মানুষজন আশ্রয় কেন্দ্র চলে আসছে। কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জ্ঞান চাকমা বলেন কবাখালী ইউনিয়নের ৭টি আশ্রয় কেন্দ্রে বন্যায় কবলিত এলাকার লোকজন আশ্রয় নিয়েছে। পরিবার গুলোর মাঝে শুকনো খাবার ও খিচুড়ি রান্না করে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মামুনুর রশীদ জানান, টানা বৃষ্টির কারণে ১৬দিনের ব্যবধানে ৪র্থ বারের মত উপজেলায় বন্যায় দেখা দিয়েছে। উপজেলার ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সর্তকতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। ঝুকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে চলে আসার জন্য ৫টি ইউপিতে ২১ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় দীঘিনালা উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।