প্যারিস এবং ১৪ সংখ্যাকে কি ম্যাজিক বলা যায়? আমি আপনি না বললেও রিয়াল মাদ্রিদ ঠিকই ১৪কে এ বছরের ‘ম্যাজিক’ সংখ্যাই বলছে। একই শহর, একই খেতাব সংখ্যা; দুটো বিষয় যেন মিলেমিশে একাকার। ফ্রান্সের প্যারিস শহর থেকে ১৪তম খেতাবের শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছে রাফায়েল নাদাল ও রিয়াল মাদ্রিদ।
গত ২৮ মে রাতে ফ্রান্সের প্যারিসে লিভারপুলকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে রেকর্ড ১৪তম বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জেতে রিয়াল মাদ্রিদ।
রাফায়েল নাদাল ও রিয়াল মাদ্রিদও যেন একে অপরের পরিপূরক। নাদাল যে রিয়ালের একনিষ্ঠ ভক্ত। অবসরে সময় পেলেই মাঠে চলে যান রিয়ালের খেলা দেখতে। গত শনিবার (২৯ মে) রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেই ফাইনাল মাঠে বসেই উপভোগ করেছিলেন নাদাল। চতুর্থ রাউন্ডের কঠিন ম্যাচ সামনে, সেই ভাবনা ফেলেই প্রিয় দলের খেলা দেখতে চলে যান স্ত্যাদ দ্য ফ্রান্সে। ঠিক এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্যারিস যেন ‘নাদাল ও রিয়াল মাদ্রিদকে’ দুই হাত ভরে ভালোবাসা দিয়েছে।
চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল মাদ্রিদ যেমন রাজা, টেনিসের ব্যক্তিগত ইভেন্টের রাজত্বও নাদালের দখলে। ইউরোপসেরার লড়াইয়ে রিয়াল ১৭ বার ফাইনাল খেলে ১৪ বারই জিতে নিয়েছে। আর নাদাল ১৪ বার ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে খেলে একবারও হারের স্বাদ পায়নি। প্রতিবারই রোলাঁ গারোর লাল সুরকির কোর্টে ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছেন।
রিয়ালের সঙ্গে নাদালের সম্পর্কও যেন আরেক উচ্চতার। শুধু ভক্তই নন, ক্লাবের একজন সদস্যও নাদাল। রেকর্ড ১৪ বার ফ্রেঞ্চ ওপেন জয়ের পরপরই নাদালকে শুভেচ্ছা জানাতে ভুল করেনি রিয়াল মাদ্রিদ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নাদালকে অভিনন্দন জানিয়ে রিয়াল লিখেছে, ‘ঐতিহাসিক কীর্তির জন্য শুভেচ্ছা নাদাল। সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে মাদ্রিদের একজন সমর্থক এবং এই ক্লাবের একজন সম্মানীয় সদস্য মনে করে আমরা গর্বিত। ২২তম গ্র্যান্ড স্লাম, রোলাঁ গারোয় ১৪তম খেতাবের জন্য শুভেচ্ছা। সন্দেহ নেই যে ১৪ সংখ্যাটা এ বছরের ম্যাজিক সংখ্যা। সাদা ক্লাব তাকে উৎসর্গ করেছে। ‘
পায়ের চোটের কারণে টেনিসকে বিদায় বলে দিতে চাইলেও ১৪তম ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন রাফায়েল নাদাল। রিয়াল মাদ্রিদ তো ১৪তম চ্যাম্পিয়নস লিগের জয়ের পর বলেই রেখেছে সামনের বছর তারা ১৫-এর জন্য লড়বে। তাই আগামী বছর রিয়াল মাদ্রিদ ও রাফায়েল নাদালের সংখ্যাটা ১৫ হবে কি না সেটা হয়তো সময়ই বলে দেবে। তত দিন অব্দি না হয় রিয়াল ও নাদালকে উপভোগ করা যাক।
আপনার মতামত লিখুন :