দূর্নীতিতে ফেঁসে যাওয়ার ভয়ে তথ্য প্রদানে চলচাতুরীর আশ্রয় নিচ্ছেন খাগড়াছড়ি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন আহমদ


admin প্রকাশের সময় : জুলাই ১৫, ২০২৪, ৬:০৬ অপরাহ্ন /
দূর্নীতিতে ফেঁসে যাওয়ার ভয়ে তথ্য প্রদানে চলচাতুরীর আশ্রয় নিচ্ছেন খাগড়াছড়ি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন আহমদ

(ধারাবাহিক প্রতিবেদনের ১ম পর্ব)

সবুজ পাতার ডেস্ক : দূর্নীতিতে ফেঁসে যাওয়ার ভয়ে তথ্য প্রদানে চলচাতুরীর আশ্রয় নিচ্ছেন খাগড়াছড়ি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন আহমদ। তথ্য অধিকার আইনে একাধিকবার আবেদন করলেও তিনি কোন তথ্য না দিয়ে বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং সন্ত্রাসীদের দ্বারা পরোক্ষ হুমকি প্রদান করছেন। খাগড়াছড়ির দিঘীনালা উপজেলা মডেল মসজিদ, খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের সার্ভিস বিল্ডিং এবং সদর হাসপাতালের পিসি আর ল্যাবের বিভিন্ন তথ্য চাওয়াতে তিনি আবেদনকারীর উপর ক্ষিপ্ত হন। কোন তথ্য প্রদান না করে অফিসিয়ালী চিঠি গোপন করে প্রতারনার আশ্রয় নিয়েছেন। জহির উদ্দিন আহমদের চলচাতুরী এবং দূর্নীতিবাজদের প্রশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে আংশিক তথ্য প্রমাণ সম্ভলিত ধারাবাহিক ৫ পর্বের প্রতিবেদনে ১ম পর্ব নিম্নে দেওয়া হলো:-
:-২৪ মার্চ ২০২৪ইং তারিখে তথ্য অধিকার বিধিমালা ২০০৯ এর ৮ ধারা অনুযায়ী তথ্য প্রাপ্তির জন্য খাগড়াছড়ি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন আহমদের নিকট একখানা আবেদন পত্র জমা প্রদান করা হয়। আবেদন পত্রে :-(ক) খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের সার্ভিস বিল্ডিং মা ও শিশু হাসপাতালের জায়গা নির্মাণের কথা থাকলেও পরবর্তীতে তা অন্যত্র নির্মাণ করার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোন বৈধ অনুমোদন রয়েছে কিনা এবং সার্ভিস বিল্ডিং-এর এ্যাবুলেশন রিপোর্ট। (খ) দিঘীনালা মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজের ডিজাইন, স্টিমিট, আর্থিক অগ্রগতি ও ভৌত অগ্রগতির বিবরন। কাজ শুরুর তারিখ ও ঠিকাদারকে প্রদেয় প্রাথমিক বিল পরিশোধের তারিখ এবং পরিমাণ ? কাজ শুরু ও সমাপ্তির তারিখ, ঠিকাদার কর্তৃক সর্বশেষ উত্তোলিত অর্থের পরিমাণ ও তারিখ, কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদার/প্রতিষ্ঠানের নাম ঠিকানা। (গ) খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব-এর কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদার/প্রতিষ্ঠানের নাম, কার্যাদেশ অনুযায়ী কি কি কাজ সম্পাদন হয়েছে এবং কাজের বিপরীতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কোন কোন তারিখে কত টাকা বিল পরিশোধ করা হয়েছে। এ যাবৎ সর্বমোট কত টাকা বিল পরিশোধ করা হয়েছে। (ঘ)। পশু হাসপাতালের কাজের ইবুলেশন হয়েছে কি না ? সর্ব নিম্ন দরদাতা কে ? এ সকল তথ্য চাওয়া হয়।
আবেদনের পর একাধিক বার গণপুর্ত অফিসে গিয়ে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন আহমদের সাথে সাক্ষাত এবং মুঠো ফোনে কথা বললে,  ‘‘আমরা ব্যস্ত আছি, দিচ্ছি দিব বলে তিনি সময় ক্ষেপন করতেন। এক পর্যায়ে ফোন রিসিভ করা বন্ধ করে দেন।
৮ মে ২০২৪ ইং তারিখে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আপীল আবেদন করে ১২ মে নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন আহমদের সাথে সাক্ষাত করলে তিনি তথ্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনের সাথে দেখা করতে বলেন। দেলোয়ার হোসেন ফাইল পত্র নিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীর রুমে প্রবেশ করে কিছুক্ষণ পরে আসার জন্য অনুরোধ করলেন। দুপুর ১টার পর দেলোয়ার হোসেন বললেন, আপনার চিঠি তো রেডি আছে, স্বাক্ষর দেন। আগেই স্বাক্ষর নিয়ে, তথ্য মূল্য পরিশোধ না করার অজুহাত দেখিয়ে আবেদনটি বাতিল হয়েছে বলে ০৭/০৫/২০২৪ইং তারিখে ইস্যুকৃত একখানা চিঠি ধরিয়ে দেন।
গণ পূর্ত অফিস কৌশল অবলম্বন করে, আবেদনের পরের দিন অর্থাৎ ২৫/০৩/২০২৪ইং তারিখে একটি চিঠি ইস্যু করেন যাহাতে উল্লেখ আছে যে, ৫(পাঁচ) কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য মূল্য বাবদ ১৩৮ টাকা জমা প্রদানের জন্য। কিন্তু গণ পূর্ত অফিস অবগত না করে বা চিঠির কপি না দিয়ে লুকিয়ে রেখেছিলেন। চাহিত তথ্য পেতে বার বার গণ পূর্ত অফিসের স্বরণাপন্ন হলেও অফিস কখনো বলেনি যে, চিঠি ইস্যু হয়েছে এবং তথ্য মূল্য পরিশোধ করতে হবে এবং তথ্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন এই বিষয়টিও জানায় নি। দূর্নীতিতে ফেঁসে যাওয়ার ভয়ে গণপূর্ত অফিস বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন বলে  অভিজ্ঞ মহলের কাছে প্রতিয়মান হচ্ছে। (চলমান)