তরুণদের মাদক ও মোবাইল আসক্তি থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলার বিকল্প নেই

প্রতিনিধি: তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে মাসব্যাপী আয়োজিত বিভিন্ন খেলাধুলার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের উদ্যোগে এবং জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া অফিসের ব্যবস্থাপনায় খাগড়াছড়িতে যুব কাবাডি অনূর্ধ্ব-১৮ টুর্নামেন্টের বালক-বালিকা বিভাগে জেলা পর্যায়ের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই প্রতিযোগিতার প্রতিপাদ্য ছিল “এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই।”

২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে খাগড়াছড়ি ঐতিহাসিক স্টেডিয়ামে এ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। খাগড়াছড়ি জেলা ক্রীড়া অফিসার হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রুমানা আক্তার।

বালক বিভাগের খেলায় খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা, পানছড়ি, মহালছড়ি এবং গুইমারা উপজেলা থেকে চারটি দল অংশ নেয়। ফাইনাল ম্যাচে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা বালক দলকে হারিয়ে গুইমারা উপজেলা বালক দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

অন্যদিকে বালিকা বিভাগে গুইমারা উপজেলা বালিকা দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা বালিকা দল।

বালিকা দলের খেলোয়াড় রাবাই মারমা বলেন, “আমরা কাবাডি খেলায় জয়ী হয়েছি। এমন টুর্নামেন্ট আয়োজন করার জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই। আমরা চাই খেলাধুলার মাধ্যমে সবসময় আমাদের ক্রীড়ামুখী করা হোক।”

ক্রীড়া সংগঠক মো. আনিসুল আলম বলেন, “তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে মাসব্যাপী বিভিন্ন ইভেন্টের খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে আজকের কাবাডি খেলা। খেলাধুলা তরুণদের মাদক এবং মোবাইল আসক্তি থেকে দূরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

অন্য আরেক ক্রীড়া সংগঠক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “কিশোর-তরুণরা এখন মাদক এবং মোবাইল গেমসের আসক্তি থেকে বের হয়ে খেলাধুলায় মনোযোগী হচ্ছে। আমরা তাদের প্রতি আহ্বান জানাই, যেন তারা আরও বেশি মাঠমুখী হয়।”

জেলা ক্রীড়া অফিসার হারুন অর রশিদ জানান, “অনূর্ধ্ব-১৮ কাবাডি ফাইনাল খেলায় ভালো পারফর্ম করা বাছাইকৃত ১২ জন বালক এবং ১২ জন বালিকা বিভাগীয় পর্যায়ে খেলার সুযোগ পাবে। তরুণদের লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় মনোযোগী করে তুলতেই আমরা এসব আয়োজন করছি।”

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রুমানা আক্তার বলেন, “বর্তমানে আমাদের তরুণরা মোবাইল আসক্তিতে ভুগছে। এমন খেলাধুলার আয়োজন তাদের এই আসক্তি থেকে মুক্ত করতে সহায়তা করবে।”

এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়রা জানান, খেলাধুলা তাদের মনোযোগ এবং মানসিকতার উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।