খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড় দিন উদযাপন উপলক্ষে সেনাবাহিনীর উপহার সামগ্রী বিতরণ।


admin প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪, ৯:১৪ অপরাহ্ন /
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড় দিন উদযাপন উপলক্ষে সেনাবাহিনীর উপহার সামগ্রী বিতরণ।

ডেস্ক রিপোর্টঃ

 

আজ, সোমবার (২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯৭ পদাতিক ব্রিগেড কর্তৃক রুমা সদরের খ্রিষ্টান ধর্মালম্বীদের মাঝে উপহার বিতরণ করা হয়। এ সময়ে মেজর আ ন ম শাকিল নেওয়াজ, এসবিপি, ওএসপি, এসইউপি, পিপিএম, পিএসসি, ব্রিগেড মেজর, সদর দপ্তর ৯৭ পদাতিক ব্রিগেড কর্তৃক সর্বমোট ৩০ জন খ্রিষ্টান ধর্মলম্বীদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করেন। এছাড়াও, ৪০ জন শিশুদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী, খেলনা ও চকলেট বিতরণ করা হয়।

 

উপহার বিতরণের সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ক্যাপ্টেন কাজী ইনতিসার সালিম, জিএসও-৩ (অপস), সদর দপ্তর ৯৭ পদাতিক ব্রিগেড, বম সোশ্যাল কাউন্সিলের সভাপতি রেভা লালজার লম বম, সাবেক সভাপতি লাল দহ সাং বম, সহ সভাপতি লাললিয়ান সম বম, সহ সভাপতি লাল সাং তন বম এবং বিভিন্ন এলাকার কার্বারীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। All Piersy শীতবস্ত্র বিতরণ কালে মেজর শাকিল বলেন, দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় রাতে অধিক শীত পড়ে।

 

রুমার মত প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসরত জনসাধারণের পাশে থাকার জন্য এই তীব্র শীতে যেন কেউ কষ্টে না থাকে সেই চিন্তা চেতনা থেকে এই ধরণের উদ্যোগে মানবিক সহায়তার মাধ্যমে নিরাপত্তা বাহিনী শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকা রাখবে। তিনি আরও বলেন, খ্রিষ্টানদের এই ধর্মীয় উৎসব বড়দিন শান্তি, ভালবাসা এবং সহমর্মিতার বার্তা বহন করে। জনসাধারণের সহায়তা এবং একতা, উন্নয়ন ও সম্প্রীতির পথকে আরও সহজ করবে। সেনাবাহিনী সব সময় দেশের ও মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করে থাকে এবং ভবিষ্যতে এ কাজের ধারবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। উক্ত কর্মসূচি আগামী ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত ক্রমন্বায়ে এই ব্রিগেডের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় পরিচালনা করা হবে।

 

এইসব প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেনাবাহিনী কর্তৃক বড়দিন উৎসবকে সামনে রেখে এই ধরণের সৌহার্দপূর্ণ কার্যক্রমের সকল স্তরের মানুষের মাঝে ইতিবাচক মনোভাব পরিলক্ষিত হয়। এই কার্যক্রমরে ফলে স্থানীয়রা সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগের প্রশংসা ও কর্তৃজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

 

এ ধরনের উদ্যোগ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে স্থানীয় মানুষদের আসন্ন বড় দিনের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানানোর জন্য গ্রহণ করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর এ ধরণের উদ্যোগকে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ স্বাগত জানায়।