খাগড়াছড়িতে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে মানববন্ধন ও মতবিনিময় সভা


admin প্রকাশের সময় : নভেম্বর ২৫, ২০২৪, ৮:২০ অপরাহ্ন /
খাগড়াছড়িতে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে মানববন্ধন ও মতবিনিময় সভা

 

প্রতিনিধি: “নারী ও কন্যা শিশুর বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধ করতে একত্রিত হউন”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উদযাপন কমিটির উদ্যোগে খাগড়াছড়িতে ১৬ দিনের প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে মানববন্ধন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২৫ নভেম্বর সোমবার সকালে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন আয়োজনের পর জেলা শিল্পকলা একাডেমি হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক নমিতা চাকমা। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রুমানা আক্তার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রুমানা আক্তার বলেন, “প্রত্যেক নারী কোনো না কোনোভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বা হচ্ছেন। এই সমস্যা নতুন নয়। তবে আমাদের সচেতন হতে হবে। মেয়েদের ১৮ বছরের আগে বিয়ে না দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। নারীদের স্বাবলম্বী হতে হবে এবং অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে। আমাদের সবার দায়িত্ব নারীদের বেড়ে ওঠার সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা এবং নিজ নিজ অবস্থান থেকে তাদের সহযোগিতা করা।”

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য শেফালিকা ত্রিপুরা, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুষ্মিতা খীসা, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিশ্বজিৎ চাকমা, খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ত্রিনা চাকমা, তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রিপন চাকমা এবং কাবিদাং-এর নির্বাহী পরিচালক লালসা চাকমা প্রমূখ।

মানববন্ধনে নারী প্রতিনিধিরা অভিযোগ করেন যে ‘‘পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার কারণে সহিংসতার ভুক্তভোগীরা যথাযথ বিচার পাচ্ছেন না, ফলে সহিংসতা রোধ করা যাচ্ছে না। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে আইন থাকা সত্ত্বেও, বিভিন্ন ফাঁকফোকর ব্যবহার করে এটি অব্যাহত রয়েছে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কর্মক্ষেত্রে এখনো হয়রানি-নির্যাতন প্রতিরোধে কার্যকর নীতিমালা বা কমিটি নেই। যেগুলো আছে, সেগুলোরও সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। নারী ও মেয়েদের প্রতি প্রকাশ্য সহিংসতার ঘটনা, অনলাইন হয়রানি, যানবাহনে শারীরিক হয়রানি, এবং পর্যটনস্থলে নিরাপত্তার অভাব নারীদের এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করছে।
নারীর প্রতি সহিংসতা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন। এটি প্রতিরোধের জন্য রাষ্ট্র, সরকার এবং সমাজের সবার যৌথ উদ্যোগ প্রয়োজন। নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে সক্রিয় ভূমিকা নিতে সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত।”