নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, গত ২২ জানুয়ারি ভোরে দীঘিনালা, মানিকছড়ি এবং মাটিরাঙা উপজেলায় একই সময়ে এ হামলা চালানো হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ইউপিডিএফ-এর সশস্ত্র সদস্যরা চাঁদা না পেয়ে এই হামলা চালিয়েছে।
দীঘিনালার বাবুছড়া কার্বারীপাড়া, বাঘাইছড়ি মুখ, জারুলছড়ি, বড়াদম এবং সাধনাটিলা এলাকায় পাঁচটি টাওয়ারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এছাড়া মাটিরাঙা ও মানিকছড়িতে আরও দুটি টাওয়ারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এ সময় যন্ত্রাংশ রুমে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে।
রবি কোম্পানির এক স্থানীয় প্রতিনিধি জানান, প্রতি বছর পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠনগুলো মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে। এ বছরও একইভাবে চাঁদা চাওয়া হয়েছিল। তবে টাওয়ারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। বিষয়টি রবি কোম্পানির নেটওয়ার্কিং টিমকে জানানো হয়েছে এবং তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল বলেন, রবি কোম্পানির টাওয়ার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়ে খবর পাওয়া গেছে, তবে এ বিষয়ে এখনও কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দায়ের করেনি।
এছাড়া, রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার দুটি ইউনিয়নেও রবি কোম্পানির টাওয়ার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার খবর পাওয়া গেছে। এতে দুই জেলার লক্ষাধিক মোবাইল ব্যবহারকারী যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :