খাগড়াছড়ি সেনাবাহিনীর গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারকে নতুন ঘর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি


admin প্রকাশের সময় : জানুয়ারি ২৫, ২০২৫, ৫:১৮ অপরাহ্ন /
খাগড়াছড়ি সেনাবাহিনীর গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারকে নতুন ঘর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি

প্রতিনিধি  : খাগড়াছড়ির পেরাছড়া ইউনিয়নের বেলতলী পাড়ার বাসিন্দা বরেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এবং তার স্ত্রী প্রভাতী বালা ত্রিপুরা দীর্ঘ ১২ বছর ধরে অভাব-অনটনের মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করছেন। সব জমি বিক্রি করে বর্তমানে ২০ শতক খাস জমিতে কোনোভাবে বসবাস করছেন এই পরিবার। তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান একটি ঘর নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। শনিবার দুপুরে তিনি এই অসহায় পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন এবং ঘর নির্মাণের আশ্বাস দেন।

পরিবারটির সদস্য সংখ্যা আটজন। ছেলে-মেয়েরা নিজেদের পরিবার নিয়ে ব্যস্ত থাকায় বাবা-মায়ের সঠিকভাবে যত্ন নিতে পারছেন না। মেয়ে কুশুঙ্কতি ত্রিপুরা জানান, তার স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোনোভাবে দিন কাটাচ্ছেন। তিনি সরকারের কাছে তার বাবা-মায়ের জন্য সহায়তার অনুরোধ করেন। অন্যদিকে, ছেলে বিনিময় ত্রিপুরা জানান, নিজের সংসার চালাতেই তাকে হিমশিম খেতে হয়। তবুও তিনি বাবা-মায়ের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেন।

বরেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, অভাবের কারণে ৪ একর জমি বিক্রি করতে হয়েছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সহায়তা পেয়ে তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ঘর পাওয়ার প্রতিশ্রুতিতে অত্যন্ত আনন্দিত।

রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান জানান, সাংবাদিকদের মাধ্যমে তিনি এই পরিবারের কষ্টের কথা জানতে পারেন। সরাসরি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবারের পরিস্থিতি দেখার পর তাদের জন্য ঘর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি আরও বলেন, সেনাবাহিনী সবসময় পাহাড়ের সাধারণ মানুষের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

স্থানীয়রা সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। তারা মনে করেন, এ ধরনের কার্যক্রম দরিদ্র মানুষের কষ্ট লাঘবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বরেন্দ্র লাল ত্রিপুরার পরিবারের সদস্যরা সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, এই সহায়তা তাদের জীবনে নতুন আশা জাগিয়েছে।

স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সেনাবাহিনীর এমন মানবিক উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের মতে, এ ধরনের কার্যক্রম সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সহায়ক হবে।

বরেন্দ্র লাল ত্রিপুরার পরিবার এখন নতুন ঘর পাওয়ার আশায় দিন গুনছে। সেনাবাহিনীর এই সহায়তা শুধু তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করবে না, বরং অন্য অসহায় পরিবারগুলোর জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।