কৃতি ফুটবলার মনিকা চাকমাকে সংবর্ধনা


admin প্রকাশের সময় : নভেম্বর ২৭, ২০২৪, ৬:০৫ অপরাহ্ন /
কৃতি ফুটবলার মনিকা চাকমাকে সংবর্ধনা

প্রতিনিধি : সাফ জয়ী জাতীয় নারী ফুটবল দলের অন্যতম সদস্য মনিকা চাকমাকে সংবর্ধনা দিয়েছে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা প্রশাসন।  ২৭ নভেম্বর বুধবার উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেটু কুমার বড়ুয়া।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সদস্য অনিমেয় চাকমা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার প্রবব কুমার পোদ্দার। আরও বক্তব্য রাখেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খালেদ, লক্ষ্মীছড়ি সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিক, ইউপি চেয়ারম্যান প্রবিল কুমার চাকমা, প্রেসক্লাব সভাপতি মো. মোবারক হোসেন এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রূপন চাকমা।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, “মনিকা চাকমা শুধু লক্ষ্মীছড়ির গর্ব নয়, তিনি পুরো দেশের গর্ব। তার অসাধারণ সাফল্যে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। তবে তার বাড়ি উপজেলার দুর্গম সুমন্ত পাড়ায় হওয়ায় সেখানে এখনও সড়ক, কালভার্ট বা ইন্টারনেট সুবিধা নেই। ২০২২ সালে প্রথম সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের পর এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।”

মনিকা চাকমা সংবর্ধনা পেয়ে বলেন, “আমি আপনাদের ভালোবাসায় অভিভূত। দেশের জন্য এবং আপনাদের জন্য আমি লড়াই করছি। আপনাদের দোয়া ও আশীর্বাদ চাই, যাতে ভবিষ্যতেও বাংলাদেশকে গৌরবান্বিত করতে পারি এবং দেশের জন্য আরও সাফল্য নিয়ে আসতে পারি।”

অনুষ্ঠানের শুরুতে উপজেলা প্রশাসন, ক্রীড়া সংস্থা এবং বিভিন্ন ক্লাব ও সংস্থা তাকে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়। পাশাপাশি মনিকার বাবা-মাকেও সম্মাননা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল ২০২২ সালের পর ২০২৪ সালেও সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে ইতিহাস গড়েছে। নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে তারা টানা দ্বিতীয়বারের মতো ট্রফি জিতে নেয়। ম্যাচে বাংলাদেশের প্রথম গোলটি করেন মনিকা চাকমা, যিনি বিরতির পর বক্সের ভিতর থেকে প্লেসিং শটে দলকে এগিয়ে দেন।

এছাড়া, মনিকা ২০২২ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্বে মিয়ানমারের বিপক্ষে একমাত্র গোল করে বাংলাদেশকে চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার এ অসাধারণ পারফরম্যান্স তাকে দেশের ক্রীড়ামঞ্চে বিশেষভাবে আলোচনায় নিয়ে আসে।

মনিকার এই অর্জন শুধু লক্ষ্মীছড়ি নয়, পুরো বাংলাদেশের জন্য অনুপ্রেরণার একটি মাইলফলক।