ডেস্ক রিপোর্টঃ
ইউপিডিএফ পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিবিরোধী একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, যারা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পাহাড়ে খুন, গুম, অপহরণ ও চাঁদাবাজির মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে এবং একই সাথে সরকার, সেনাবাহিনী ও বাঙালিদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। গত দুই দশক ধরে তারা নিরাপত্তা বাহিনীকে সরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে মিথ্যা ও বানোয়াট প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছে, যা সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আরও বেড়ে চলছে।
ইউপিডিএফ এবার নতুনভাবে শুরু করেছে পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা। যার অংশ হিসেবে তারা দুর্ঘটনাজনিত কারনে বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিজেরাই স্বজাতি পাহাড়িদের ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটিয়ে তার দায় চাপানোর চেষ্টা করছে বাঙালিদের ওপর। এমনি একটি ঘটনা আজ ঘটেছে রাঙামাটির জেলার নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত বগাছড়ি কৈলাশ পাড়ায় যেখানে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কারনে সৃষ্ট অগ্নিকান্ডে স্থানীয় মন্টু চাকমার ঘর পুড়ে যাওয়ার ঘটনাটিকে ইউপিডিএফ তাদের নিজস্ব ফেসবুক পেজ ও স্থানীয় ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে ‘স্যাটেলার কর্তৃক পাহাড়ীর ঘর পড়ানো’ শিরোনামে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির লক্ষ্যে ব্যাপক ভাবে প্রচার করেছে। যদিও স্থানীয় প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীর তড়িৎ উপস্থিতিতে সত্য ঘটনার দ্রুত জনসম্মুখে আসায় বিষয়টি আর বেশী দূর গোড়ায়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় অধিবাসীরা চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কেননা এরূপ উদ্দেশ্যমূলক কর্মকান্ড অনাগত দিনে ইউপিডিএফ কর্তৃক বড় ধরনের কোনো নাশকতা সৃষ্টির ইঙ্গিত বহন করে।
উল্লেখ্য ঘটনাস্থলে পুনর্বাসিত বাঙালিদের বন্দোবস্তকৃত রেকর্ডীয় জায়গা রয়েছে। একসময় এসব জায়গায় বাঙালিরা বসবাস করলেও ১৯৮৮ সালে এরশাদ সরকার গুচ্ছগ্রাম নীতি বাস্তবায়ন করার ফলে বাঙালিরা কথিত বন্দিশালায় চলে গেলে, জেএসএস শান্তিবাহিনী এসব জায়গা জবরদখল করে।
স্থানীয় বাঙালিরা জানায়, ২০০৮ সাল থেকে আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ মূলদল) পরিকল্পিতভাবে এসব জায়গা থেকে বাঙালিদের চিহ্ন মুছে ফেলতে কাজ করছে। তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে উপজাতিদের সেখানে বসতি স্থাপন করতে বাধ্য করছে এবং বাঙালিদের বেশ কিছু জায়গায় দখলের উদ্দেশ্যে নিজেরাই টিনশেড ঘর নির্মাণ করে সেখানে উপজাতীয়দের থাকার ব্যবস্থা করেছে। বাঙালিরা এইসব জায়গার মালিকানা দাবি করার চেষ্টা করলেই কৌশলে তারা তৈরী করছে সাম্প্রদায়িক কলহ সৃষ্টির মতো পরিস্থিতি। এভাবে বছরের পর বছর তারা বাঙালিদের উসকে দিতে ও ফাঁদে ফেলতে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করে আসছে।
সকাল থেকেই ইউপিডিএফ নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া পেজ ও অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোতে মন্টু চাকমার ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় বাঙালিদের দায়ী করা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচারণা নিয়ে সচেতন মহল মনে করেন, পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উসকে দিতে এবং রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে ইউপিডিএফ।
আপনার মতামত লিখুন :