সৎ ভাইদের হঠকারিতায় পিতৃ সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত দরিদ্র চার বোন-


admin প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৪, ৭:২৯ অপরাহ্ন /
সৎ ভাইদের হঠকারিতায় পিতৃ সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত দরিদ্র চার বোন-

(ধারাবাহিক প্রতিবেদনের ১ম পর্ব)

নিজস্ব প্রতিবেদক : খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউপির কালাচাদ মহাজন পাড়া এলাকার রেজাউর রহমান ১০ বছর পূর্বে মৃত্যু বরন করেন। তার ৯ পুত্র ও ৪ কন্যা সন্তান রয়েছে। আরেক কন্যাসন্তান মারা গেলেও মৃত কন্যার ওয়ারিশ আছে। তার কন্যা ছিল ৫ জন। রেজাউর রহমানের জায়গা জমি ছিল ২৫ একরেরও অধিক। তার মৃত্যুর পর তার সকল সম্পত্তি ভোগ করছে তার ছেলেরা। পিতার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত চার বোন দ্বারে দ্বারে ঘুরেও পৈত্তিক সম্পত্তির ভাগ পাচ্ছে না। উল্টো তৃতীয় সংসারের সৎ ভ্রাতৃবৃন্দ দ্বারা বিভিন্ন হুমকি ও হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। পিতার সমুদয় সম্পত্তি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ওয়ারিশন সনদও তুলতে গড়িমসি করছে সৎ ভাইয়েরা। স্থানীয় ভাবে বিচার সালিশ করে কোন সুরাহা পাচ্ছে না। ভাইদের বিরুদ্ধে স্থানীয়ভাবে কোন অভিযোগ দিলে তারা সুকৌশলে গ্রাম্য মাতব্বর ও চেয়ারম্যান মেম্বারদের প্ররোচিত করে কাল ক্ষেপন করে।
মৃত রেজাউর রহমানের বড়মেয়ে মোছা: আছিয়া খাতুন (৭০) বলেন, আমার বাবা মারা গেছে ১০বছর হয়। বাবা মারা যাওয়ার সময় অনেক জায়গা সম্পতি রেখে গেছে। আমার ৯ভাই মিলে বাবার সকল সম্পত্তি ভোগ করে খাচ্ছে। আমরা ৫ বোন ছিলাম। ১ জন মারা গেছে কিন্তু তার সন্তানরা জীবিত আছে। আমাদের ভাইয়েরা বাবার রেখে যাওয়া কোন সম্পত্তি কোন বোনকেই দিচ্ছে না। স্থানীয় ভাবে ৮ভাইয়ের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ দিয়েছি কিন্তু কোন বিচার পাই নাই। আমরা এখন নিরুপায়। বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তির ওয়ারিশ পাওয়ার জন্য আমরা চেয়ারম্যন মেম্বারসহ অনেকের কাছে গিয়েছি। আমরা বোনেরা সবাই গরীব। আইন আদালতে যাওয়ার মতো টাকাও নাই। তাছাড়া ওয়ারিশনও করতে পারতেছি না। ভাইয়েরা পিতার জমির কোন কাগজ পত্র দেয় না। ওয়ারিশন সনদ তুলতেও অনীহা দেখায়।
বেলছড়ি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফুর(৭৫) বলেন, রেজাউর রহমান মারা গেছে ১০বছর হয়ে গেছে। তিনি মারা যাওয়ার সময় তিন সংসারের ৯ছেলে ও ৪মেয়ে রেখে যান। ৯ছেলে পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তি ভোগ করছে। ভাইয়েরা তাদের বোনকে পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তির ওয়ারিশ দিচ্ছে না। এ নিয়ে অনেক বার স্থানীয় ভাবে বিচার সালিশ হয়েছে। কিন্তু কোন সুরাহ হয় নাই।
মৃত রেজাউর রহমানের বড় ছেলে মো: আব্দুল মতিন বলেন, আমার বাবার তিন সংসারের ৯ভাই ৪বোন আছি। এখনও সবার ওয়ারিশন সার্টিফিকেট বাহির করা হয় নাই। আমার বাবার ছোট সংসারের পাঁচ ভাইয়েরা মিলে সম্পত্তি ভোগ করছে। আমি অনেক বার কথা বলছি বাবার সকল সম্পত্তি তার ছেলে মেয়ের মাঝে ওয়ারিশ অনুযায়ী ভাগ করে দেয়ার জন্য। কিন্তু ছোট ৫ভাই একমত হয় না।
মেরুং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোছা: মাহমুদা বেগম লাকী বলেন, বেলছড়ি এলাকার মৃত রেজাউর রহমানের ৪মেয়ে ও ৯ছেলেদের মধ্যে জটিল সমস্যা রয়েছে। স্থানীয় বিচার সালিশে জমি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করা সম্ভব না। ওয়ারিশ অনুযায়ী আইনানুক ব্যবস্থা নিতে হবে। ( চলমান-)