স্বেচ্ছাশ্রমে পানছড়িতে রাস্তা ও কাঠের সেতু নির্মান


admin প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ৬, ২০২৩, ৯:৫১ অপরাহ্ন /
স্বেচ্ছাশ্রমে পানছড়িতে রাস্তা ও কাঠের সেতু নির্মান

 

পানছড়ি প্রতিনিধি : কেউ দিয়েছে গাছ, কেউ কাঠ, কেউ টাকা আর কেউবা দিয়েছে শ্রম। খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়িতে এভাবেই এলাকাবাসীর প্রায় এক মাসের স্বেচ্ছাশ্রমে গড়ে উঠেছে দৃষ্টিনন্দন সেতু ও রাস্তা। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৮০ ফুট আর রাস্তা প্রায় ১ কিলোমিটার। লতিবান চরার উপর কাঠের তৈরী সেতুটি দেখতেও নজরকাড়া। সেতুটি কমিয়ে দিয়েছে প্রায় দশ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের ভোগান্তি।
জানা যায়, পানছড়ি ইউপির ৯নং ওয়ার্ড ও লতিবান ইউপি’র ৩নং ওয়ার্ডে লতিবান চরার অবস্থান। যার পাশেই রয়েছে ভাবনা কেন্দ্র। পানছড়ি ইউপির বড়কোনা, অবনীপাড়া ও নবীনচান পাড়াবাসী যৌথভাবে ভাবনা কেন্দ্রের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। ভাবনা কেন্দ্রে যেতে পার হতে হয় লতিবান চরা। তাছাড়া লতিবান ইউপির কোনারায় পাড়া, বলিপাড়া, প্রদীপ পাড়া ও গঙ্গারাম পাড়ার লোকজনও পানছড়ি বাজারসহ বিভিন্ন শহরে এই চরা ও রাস্তার উপর দিয়ে যাতায়াত করে। বর্তমানে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত কাঠের সেতুর বুক চিরে কোন রকম ঝুঁকি ছাড়াই নিত্য চলাচল করে শত শত মানুষ।
এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য সুশীল বিন্দু চাকমা জানান, এলাকাবাসী মিলেই কাঠের সেতু ও ভাবনা কেন্দ্রের রাস্তাটি তৈরী করেছে। এতে খরচ হয়েছে প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকা। বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল ছিল ঝুকিপূর্ণ তাই কাঠের সেতু নির্মান করা হয়েছে। তবে আগামী বর্ষায় হয়তো পানির প্রবল শ্রোতে সেতুটি চরা গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। তখন আবারও দুর্ভোগ বাড়বে। এলাকার মুরুব্বী প্রিয়লাল চাকমা, ভুপতি চাকমা ও ভাবনা কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির সদস্য কৃষ্ণ মনি চাকমা জানান, ভাবনা কেন্দ্র হাজার হাজার পূণার্থীর পদচারনায় থাকে মুখরিত। কঠিন চীবর দান, বৌদ্ধ পূজা, প্রবারনা পূর্ণিমা, বৈশাখি পূর্ণিমা, মধু পূর্ণিমা, মাঘি পূর্ণিমাসহ সকল ধরণের অনুষ্ঠান এই ভাবনা কেন্দ্রে হয়ে থাকে। তাই লতিবান চরার উপর একটি পাকা সেতু নির্মান করা অতীব জরুরী। সকলেই এলজিইডি প্রকৌশলীসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি চায়।
পানছড়ি উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো: আবদুল খালেক জানান, সেতুটি নির্মানের ব্যাপারে আমরা খুবই আন্তরিক। এরি মাঝে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। সামনে হয়তো ভালো একটি খবর আসবে।