সাংবাদিককে তথ্য না দেওয়ায়-খাগড়াছড়ি সওজের দুই প্রকৌশলীকে সতর্ক করলেন তথ্য কমিশন


admin প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৫, ২০২৩, ৬:৫৯ অপরাহ্ন /
সাংবাদিককে তথ্য না দেওয়ায়-খাগড়াছড়ি সওজের দুই প্রকৌশলীকে সতর্ক করলেন তথ্য কমিশন

 

সবুজ পাতার ডেস্ক : খাগড়াছড়িতে তথ্য অধিকার আইনের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করে তথ্য চেয়েও তথ্য পাইনি সাংবাদিক। এ ঘটনায় তথ্য কমিশনে বিচারের মুখোমুখি দুই প্রকৌশলী। তারা হলেন খাগড়াছড়ি সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমান ও একই দপ্তরের সহকারি প্রকৌশলী রনেন চাকমা। ১৫ নভেম্বর সকাল ১১ টায় ভার্চুয়ালী শুনানিতে দুই প্রকৌশলীকে সতর্ক করেন এবং আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সাংবাদিক আসাদের চাহিত তথ্যসমূহ প্রদানের আদেশ দেন কমিশন।
ভার্চুয়ালী শুনানির আদেশের বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমানের বলেন,”সিদ্ধান্ত তো মৌখিক, লিখিত কপি আসলে জানাবো।”
সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম ভূইয়া আসাদ বলেন,” অবাধ তথ্য প্রবাহের এই যুগে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রদানে কর্মকর্তাদের এমন অনাগ্রহ জাতির জন্য লজ্জার বিষয়। তবে তথ্য কমিশনের ভূমিকা অত্যন্ত চমৎকার।”
বাংলাদেশ প্রেসক্লাব খাগড়াছড়ি জেলা শাখার আহবায়ক দেব প্রসাদ ত্রিপুরা বলেন,”খাগড়াছড়ির সাংবাদিকদের জন্য এটি একটি মাইলফলক। জেলার অনেক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা তথ্য আইন মানতে অভ্যস্ত নয়। কমিশনের এমন ভূমিকা প্রশংসার দাবী রাখে। আশাকরি সবসময় এভাবে তথ্য কমিশনকে আমরা কাছে পাবো।”
খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমানের নিকট বিগত পাঁচ অর্থবছরে বাস্তবায়িত ও বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প/স্কীমসমূহের প্রকাশযোগ্য কিছু নির্ধারিত তথ্য চেয়ে গত এপ্রিল মাসে আবেদন করেন জেলার কর্মরত সাংবাদিক মোঃ শরিফুল ইসলাম ভূইয়া আসাদ। প্রথমে আবেদন না পাওয়ার কথা বললেও রাঙামাটির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর নিকট আপীল আবেদনের পর তথ্য দিতে স্বীকার করেন খাগড়াছড়ি সওজ কর্তৃপক্ষ। আবেদনকারীকে জুন মাসে একটি পত্র দেন তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা রনেন চাকমা। ঐ পত্রে আবেদনকারীর তথ্য সরবরাহ করতে ৩৪ হাজার পৃষ্ঠার মূল্য বাবদ ৬৮ হাজার টাকা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়। কিন্তু বহুবার ধর্না দেওয়ার পরেও অর্থ জমাদানের কোড নাম্বার দেননি রনেন চাকমা। সর্বশেষ প্রধান তথ্য কমিশনারের নিকট অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য হয় সাংবাদিক। তার অভিযোগের ভিত্তিতেই আজকের এই ভার্চুয়ালী শুনানি ও আদেশ দিলেন তথ্য কমিশন।