চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন বেশির ভাগের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। আজ সোমবার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক আবুল কালাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি বলেন, এখানে ভর্তি ১৫ জনের মধ্যে চারজন নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) রয়েছেন। একজনকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। বাকিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
আবুল কালাম জানান, রোগীদের চিকিৎসায় ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা মেডিকেল থেকে চিকিৎসক এসে তাদের দেখে গিয়েছেন। বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেনের নেতৃত্বে একটি দল এখন চট্টগ্রাম মেডিকেলে আছে। সেখান থেকে আরও ৭ থেকে ১০ জন রোগী শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে আসার সম্ভাবনা আছে।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার রাতে লাগা আগুনের ফলে একটি কনটেইনারে রাসায়নিক থাকায় রাত পৌনে ১১টার দিকে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ৪ কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। আশপাশের বাড়িঘরের জানালার কাচ ভেঙে পড়ে। এতে এখন পর্যন্ত ৪১ জন নিহতের খবর নিশ্চিত করেছে প্রশাসন। নিহতদের অধিকাংশের পরিচয় এখনো মেলেনি। সেই পরিচয় নিশ্চিত করতে চট্টগ্রাম মেডিকেলের সামনে চলছে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ। সোমবার দুপুর পর্যন্ত ১৬ পরিবারের ৩০ জনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ডিএনএর নমুনা সংগ্রহে চুল, রক্ত ও লালা নেয়া হচ্ছে স্বজনদের। তবে মরদেহগুলোর পরিচয় জানতে অপেক্ষা করতে হবে ১ মাস। এই সময়ে মরদেহগুলো ফ্রিজারে সংরক্ষণ করা হবে। রিপোর্ট পাওয়ার পর স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে মরদেহগুলো।
আপনার মতামত লিখুন :