যোগ্যাছোলা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন


admin প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪, ৬:৫৮ অপরাহ্ন /
যোগ্যাছোলা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন

 

মানিকছড়ি সংবাদদাতা: মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের অসংখ্য স্মৃতি বিজড়িত মানিকছড়ি উপজেলার প্রাচীন জনপদ যোগ্যাছোলা বাজার এলাকায় ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘যোগ্যাছোলা উচ্চ বিদ্যালয়’। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দুর্গম এ জনপদে শিক্ষার আলো পৌছে দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন উক্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের ফলে ২০০১ সালে জুনিয়র এমপিও ভূক্ত হয় প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৮ সালে এটি মাধ্যমিক পর্যায়ে এমপিও ভূক্তি হলে পাল্টে যায় চিত্র। ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষার মান বৃদ্ধি পায়। যার ফলে প্রতিবছর শতাধিক শিক্ষার্থী এখান থেকে মাধ্যমিকের গন্ডি পেরিয়ে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের সুযোগ পাচ্ছে। তবে উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের অভিভাবক অস্বচ্ছল ও দুর্গম এলাকায় বসবার করায় অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে রয়েছে। যার ফলে প্রতিবছর বহু শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়। পারিবারিক আর্থিক যোগান দিতে লেগে পড়েন কর্মে। কেননা উপজেলা সদর কিংবা শহরে থেকে পড়াশোনার খরচ বহণ করার সামর্থ নেই অধিকাংশ শিক্ষার্থীর। তাই দীর্ঘদিন ধরে যোগ্যাছোলা এলাকায় একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার দাবি করে আসছিলেন ঐ এলাকার শিক্ষানুরাগীরা। অবশেষে মানিকছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন ও স্থানীয় শিল্পপতি এইচএ গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. হাফিজ আহমেদ’র ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় যোগ্যাছোলা স্কুল এন্ড কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে যোগ্যাছোলা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে যোগ্যাছোলা স্কুল এন্ড কলেজ ভবণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন ও এইচএ গ্রুপের চেয়ারম্যান স্থানীয় শিল্পপতি মো. হাফিজ আহমেদ। ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনকালে কলেজের দাতা সদস্য হিসেবে শিল্পপতি মো. হাফিজ আহমেদ। ১০ লক্ষ টাকা অনুদানের আশ্বাস দেন । সেই সাথে কলেজ প্রতিষ্ঠায় আর্থিক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতিও প্রদান করেন ।

যোগ্যাছোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেবুবুল কালাম আজাদ বলেন, অত্র বিদ্যালয়ে প্রতিবছর প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন। যোগ্যাছোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের আশপাশে বেশ কয়েকটি দাখিল মাদরাসাও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিবছর প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী মাধ্যমিক পাশ করে উচ্চ শিক্ষায় লাভের আশায় উপজেলা সদরের পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন কলেজে ভর্তি হয়। কিন্তু পারিবারিক আর্থিক সংকটের কারণে প্রতিবছর বহু শিক্ষার্থী পড়াশোনো ছেড়ে দিতে হয়। এলাকায় একটি কলেজ স্থাপনের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। ইতোমধ্যে কলেজ স্থাপনের বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। কিছুদিনের মধ্যে চট্টগ্রাম কলেজ পরিদর্শক এখানে পরিদর্শন করবেন। শুপারিশপ্রাপ্ত হলে দ্রুত কলেজ নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।