মাশরুম চাষে সুদিন দেখছেন হাছান


admin প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪, ১০:৫১ অপরাহ্ন /
মাশরুম চাষে সুদিন দেখছেন হাছান

শাহজাহান কবির সাজু : খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার তরুণ উদ্যোক্তা ও মাশরুম চাষীর নাম মো: হাছান আলী (৩২)। সে উপজেলার আইয়ুব নগর গ্রামের আবুল কাশেমের সন্তান। খুব সহজেই মাশরুম চাষে সফলতা আসেনি হাছানের। প্রচুর পরিশ্রম ও সুন্দর পরিকল্পনার মাধ্যমেই পেয়েছেন তিনি সফলতা। পানছড়ি উপজেলা কৃষি অফিসের আন্তরিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি সঠিকভাবে মাশরুম চাষের উপর প্রশিক্ষণ নিয়েই পেয়েছেন সফলতা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আইয়ুব নগর গ্রামে নিজ বাড়ির আঙিনায় একটি ঘরের মাঝে তিনি সাজিয়েছেন মাশরুম। বাঁশের মাঝে সারি সারি ঝুলানো হয়েছে মাশরুমের প্যাকেট। প্যাকেট ভেদ করে বের হওয়া মাশরুমগুলো দেখতেও বেশ চমৎকার। তার সহধর্মিনী ছাড়াও ৬/৭ জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করার পাশাপাশি বেকারত্ব দুরীকরণেও হাছান রাখছেন বিশাল ভূমিকা। বর্তমানে ঝুলানো রয়েছে এক হাজার তিনশত প্যাকেট। সপ্তাহে দুবার করে মাশরুম তুলে বাজারজাত করেন তিনি। প্রতি কেজি: পাইকারী দরে বিক্রি হয় দুইশত চল্লিশ থেকে আড়াইশ টাকায়। পানছড়ির বিভিন্ন বাজারে এসব মাশরুমের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। প্রতি মাসে সবকিছু বাদ দিয়ে ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা আয় হয়। তবে পূজির অভাবে মাশরুমের পরিধি ব্যাপক আকারে বাড়াতে পারছেন না তিনি ।
উপজেলা কৃষি অফিসার নাজমুল ইসলাম মজুমদার জানান, হাছান একজন ভালো উদ্যোক্তা। মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউট চোবহানবাগ সাভারে সে মাশরুম চাষের উপর উন্নতর প্রশিক্ষন গ্রহন করেছে। মাশরুম চাষ প্রনালী সে হাতে কলমে শিখেছে। তার তত্ত্বাবধানে ত্রিশ জন নারী ও পুরুষ উদ্যেক্তা থাকবে। তাদের মাধ্যমে পিউর কালচার, মাদার কালচার ও বানিজ্যিক স্পুন তৈরী করবে। হাছানের মাঝে দেখছেন তিনি প্রচুর সম্ভবনা। তাই তাকে একটি ইনকুলেশন ঘর, চাষ ঘর, ভেন গাড়ি, স্টেরিলাইজেশন চেম্বার দুটি ঘর দেয়া হবে। যাতে থাকবে নজেলের মাধ্যমে স্প্রে সিস্টেমসহ নানান সুবিধা।