প্রতিনিধি:: খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে মারমা কিশোরী ধর্ষণ মামলার তিন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২৫ অক্টোবর বুধবার দুপুর ১টায় চট্টগ্রাম থেকে বাসে করে মানিকছড়ি মহামুনি বাসস্ট্যান্ডে নেমে এক মারমা কিশোরী। পরে মানিকছড়ির মহামনি থেকে ব্যাটারী চালিত ইজিবাইকে গচ্ছাবিল বাজারে এসে সেখান থেকে পায়ে হেঁটে বাড়িতে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে অজ্ঞাত ৩ যুবক দুপুর ২টা ১৫ ঘটিকার সময় কিশোরীকে ধর্ষন করে।
ঘটনায় মামলা রুজুর পর তাৎক্ষনিক চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা বিপিএম (বার) এর সুদক্ষ দিক-নির্দেশনায় ৪৮ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযানে ৩ ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২৯অক্টোবর রবিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
তিনি আরো জানান, ভিকটিম এর পিতা বাদী হয়ে মানিকছড়ি থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। মানিকছড়ি থানার একটি চৌকস আভিযানিক টিম ঘটনার সত্যতা ও অজ্ঞাতনামা আসামী শনাক্ত করনের জন্য প্রযুক্তিগত সম্ভাব্য সকল উপায়ে অভিযান শুরু করে।
আসামীদের সনাক্তকরণে ঘটনা স্থলের আশপাশের এলাকার ও ঘটনার সময়ের আগে পরে ঘটনা স্থলের পাশ দিয়ে আসা যাওয়া করা সকল মোটরসাইকেল এর যাত্রী ও চালক শনাক্তকরণের জন্য ব্যাপক তৎপরতা চালায়।
পরবর্তীতে প্রাপ্ত সকল তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষন করে গত ২৮অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে প্রথমে ১ জন আসামী মানিকছড়ির ২নং ওয়ার্ডের পূর্ব গচ্ছাবিল (শাহ আলমের বাড়ী) মো: মোহর আলী ও শাহিনুর বেগমের ছেলে মো: শাহ আলী (২০)কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করে আসামী একই ইউনিয়নের মো: আবদুল মালেক ও শিউলী বেগম এর ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান প্রকাশ মিজান (২২) ও মানিকছড়ি ইউনিয়নের লিয়াকত আলী ও রেজিয়া বেগমের ছেলে মোঃ হোসেন আলী (২২)কে গ্রেফতার ও আসামীদের নাম্বার বিহীন মোটর সাইকেল জব্দ করতে সক্ষম হয়। পরে গ্রেফতার করে তাদের মানিকছড়ির থানা পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত ৩ জন আসামীর মধ্যে ১ জন ধর্ষণ এবং অপর ২ জন ধর্ষণে সহায়তার প্রাথমিকভাবে দায় স্বীকার করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :